- দে । শ
- ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত, বর্ষশেষে আর জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই
নতুন বছরেই দেশজুড়ে আবহাওয়ার বড় পরিবর্তন। আইএমডি জানিয়েছে, আরব সাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব বাড়ছে। এই দুইয়ের ফলেই বর্ষশেষের আবহাওয়াযা পরিবর্তন হতে চলেছে, যার প্রভাব পড়তে চলেছে নতুন বছরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ও সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে রয়েছে ঘূর্ণাবর্তটি। এই দুই এর জেরে দক্ষিণ ভারতে উত্তর-পূবালী হাওয়ার প্রভাব তৈরি হয়েছে । নতুন করে বৃষ্টির সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে বছরের শেষে। নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঢুকতে শুরু করেছে শনিবার থেকে। এর প্রভাবে বছরের শুরুতেই তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিঙে। রবিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে দার্জিলিঙে তুষারপাতের সম্ভাবনা বাড়ছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সিকিমে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিংয়ের উঁচু পার্বত্য এলাকায় আর প্রভাব পড়বে। বৃষ্টি হবে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-সহ উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায়। এমনিতেই বড়দিনের পর শীত উধাও। জাঁকিয়ে শীতের কোনও সম্ভাবনা নেই আর নেই। সকাল সন্ধ্যা শীতের আমেজ থাকলেও দিনের বেলায় শীত কার্যত উধাও হয়ে যাচ্ছে। বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণের কটা দিন এরকমই থাকবে আবহাওয়া। কলকাতায় স্বাভাবিকের অনেকটাই উপরে রাতের তাপমাত্রা। নতুন বছরের প্রথম দিনে সামান্য রাতের তাপমাত্রা কমলেও তাতে আবহাওয়ার পরিবর্তন কেমন হবে না। বরং জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আরও তাপমাত্রা বাড়তে পারে। আগামী সাতদিন আবহাওয়ার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। একদিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝায় আটকে দিয়েছে উত্তুরে হাওয়া। অন্যদিকে বাংলাদেশ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে পূবালী হাওয়ার দাপট রয়েছে। এর ফলেও শীতকালে বাংলায় উষ্ণতার ছোঁয়া লেগেছে। পঞ্জাব থেকে পূর্ব ভারত সব রাজ্যেই স্বাভাবিকের থেকে দুই থেকে চার ডিগ্রি উপরে তাপমাত্রা থাকছে। ঘন কুয়াশার সতর্কতা থাকছে এই সব রাজ্যে। এদিকে উত্তর-পশ্চিম ভারতের কোল্ড-ডে পরিস্থিতি। উত্তর-পূবালী হাওয়ায় নতুন ঝাপ্টা চলছে। বর্ষশেষ ও বর্ষবরণে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা দক্ষিণ ভারতে। বর্ষ শেষ ও বর্ষবরণে ভিজতে পারে উত্তর-পশ্চিম ভারত। কারণ নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে শনিবার বছরের শেষ দিনে। বছরের শুরুতেই তুষারপাতের সম্ভাবনা উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়। দক্ষিণবঙ্গসকালে ও সন্ধ্যায় হালকা শীতের আমেজ থাকলেও দিনের বেলায় শীত কার্যত উধাও। স্বাভাবিকের দুই থেকে চার ডিগ্রি উপরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। খুব সকালে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা। কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশার দাপট। কুয়াশা কেটে গেলে মূলত পরিষ্কার আকাশের সম্ভাবনা। বাংলাদেশ ঘূর্ণাবর্ত। এর ফলে পুবালী হাওয়ার দাপট বাড়ছে। কমেছে উত্তর-পশ্চিমী শীতল হাওয়ার প্রভাব। তাই বলা যায়, বর্ষশেষে আর জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই।
❤ Support Us