- এই মুহূর্তে দে । শ
- মার্চ ২৮, ২০২৪
২৩৮ বার নির্বাচনে লড়াই করে ব্যর্থ, লিমকা বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলেও দমবার পাত্র নন পদ্মরাজন
২৩৮ বার নির্বাচনে লড়াই করে ব্যর্থ হয়েছেন। লিমকা বুক রেকর্ডে নামও তুলে ফেলেছেন। বারবার ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও দমবার পাত্র নন কে পদ্মরাজন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আবারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৬৫ বছর বয়সী টায়ার সারানোর দোকানের এই মালিক।
১৯৮৮ সালে নিজের শহর তামিলনাডুর মেট্টুর থেকে নির্বাচনে লড়াই শুরু করেছিলেন। প্রথম যখন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, অনেকেই তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করেছিলেন। ভোটে জয়লাভ করা নয়, পদ্মরাজন প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন একজন সাধারণ মানুষও নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তাঁর কথায়, ‘সব প্রার্থীরা নির্বাচনে জয় কামনা করেন। আমি কিন্তু জয়ের জন্য নির্বাচনে লড়াই করি না। অংশগ্রহন করতে পারাটাই আমার কাছে জয়। তাই হেরেও আমি খুশি হই।’
এবছর সাধারণ নির্বাচনে তামিলনাড়ুর ধর্মপুরী জেলার একটি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কে পদ্মরাজন। ‘নির্বাচনের রাজা’ নামে পরিচিত পদ্মরাজন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী, মনমোহন সিংয়ের বিরুদ্ধে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও ভোটে দাঁড়িয়েছেন পদ্মরাজন। কার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, সে ব্যাপারে কোনও পরোয়া নেই পদ্মরাজনের। তাঁর কথায়, ‘উল্টোদিকে কে প্রার্থী, তা নিয়ে পরোয়া করি না। আমার কিছু যায় আসে না।’
নির্বাচনে লড়াই করতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। এবছর লোকসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য ২৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। ১৬ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে যা ফেরত পাবেন না। নির্বাচনে জয়লাভের থেকেও পদ্মরাজনের বড় প্রাপ্তি লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে দেশের সবচেয়ে অসফল প্রার্থী হিসেবে জায়গা পাওয়া। ভোটের লড়াইয়ে পদ্মরাজনের সেরা পারফরমেন্স ২০১১ সালে তামিলনাডুর বিধানসভা নির্বাচন। মেট্টুর বিধানসভা কেন্দ্রে অপ্রত্যাশিতভাবে ৬২৭৩ ভোটে জিতেছিলেন।
টায়ার সাড়ানোর দোকান ছাড়াও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করেন পদ্মরাজন। এছাড়া স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক। সব কাজের মধ্যে নির্বাচনে লড়াই করাটাই তাঁর কাছে অগ্রাধিকার পায়। এই ব্যাপারে পদ্মরাজন বলেন, ‘মানুষ মনোনয়ন দিতে ইতস্তত করে। তাই আমি আদর্শ হতে চাই, সচেতনতা তৈরি করতে চাই। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত নির্বাচনে লড়াই চালিয়ে যাব। যদি কখনও লোকসভা নির্বাচনে জিতি, আমার হার্ট অ্যাটাক হবে।’
❤ Support Us