- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
প্রমোদতরীতে জলপথে দিঘা-পুরী
বাঙালি ইচ্ছে হলেই দিঘা,পুরী চলে যান হাল্কা ভ্রমণে। তবে এই ভ্রমনে দিঘা যেতে ট্রেন বাস এবং পুরী যেতে ট্রেনই একমাত্র ভরসা ছিল। তবে শীঘ্রই প্রমোদতরীতে করে ডায়মন্ডহারবার থেকে দিঘা এবং পুরী যাওয়ার ব্যবস্থা করছে ডায়মন্ডহারবার পুরসভা। এই পরিষেবা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে চালানে হবে বলে জানা গেছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবার, সেখান থেকেই এবার প্রমোদতরীতে করে পৌঁছে যাওয়া যাবে দীঘা, পুরী। ফলে দিঘা যাওয়া তো বটেই, পুরী যাওয়াও আরও আনন্দময় ও চিত্তাকর্ষক হয়ে উঠল।
ডায়মন্ডহারবার পুরসভা এই ক্রুজ পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানা গেছে। পিপিপি মডেলে এই পরুষেবা চলতে পারে বলে জানা গেছে। এনিয়ে আলোচনাও হয়েছে কয়েক দফা। ট্রায়াল রান শীঘ্রই শুরু করা হবে। তবে এই জলযাত্রা যে যথেষ্ট উপভোগ্য হবে সেটা বলাই যায়। কারণ জলপথে প্রকৃতি দেখতে দেখতে এক অন্যরকম অনুভূতি হবে পর্যটকদের। ডায়মন্ড হারবার থেকে ক্রুজটি ছেড়ে গঙ্গাসাগরে এসে দাঁড়াবে। তারপর সেখান থেকে দিঘা ও পুরী যাবে এই বিলাসবহুল প্রমোদতরী।
আর একবার এই পরিষেবা চালু হলে তা যে পর্যটকদের কাছে কতটা আকর্ষণীয় হবে তা বলাই বাহুল্য। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে এই ক্রুজটি ডায়মন্ড হারবার জেটি থেকে ছাড়বে। তারপর প্রথমে এটি গঙ্গাসাগরে যাবে। এই জায়গার প্রতিও আগ্রহ আছে অনেকেরই। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ থেকে এটি পুরীর দিকে রওনা দেবে। মানে গঙ্গাসাগর থেকে পুরী। পরপর দুটি তীর্থ দর্শন হবে। সেটাও আবার জলপথে। দুষণ, কিংবা গাড়ির ঝাঁকুনির কোনও ব্যাপারই থাকবে না।
এদিকে সূত্রের খবর, ডায়মন্ডহারবার থেকে দিঘার দিকে যে ক্রুজ যাবে সেটার সময় লাগতে পারে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা। ট্রেনে কিংবা বাসে হলেও এত দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছন সম্ভব নয়। সেটাই হবে ক্রুজে। তবে ভাড়ার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে ভাড়া পর্যটকদের নাগালের মধ্যে রাখার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই সুরক্ষার ব্যাপারটিও মাথায় রয়েছে কর্তৃপক্ষের। সব মিলিয়ে একেবারে হই হই ব্যাপার। আর দিঘাতে জগন্নাথ মন্দিরও তৈরি হচ্ছে। এটা তো বাড়তি পাওনা।
আর পুরী যেতে সময় লাগলে পারে ৬ ঘণ্টা। কবে এই পরিষেবা চালু হবে? এখন সেই দিকে নজর ভ্রমণপিয়াসী বাঙালির।
❤ Support Us