Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • এপ্রিল ৫, ২০২৪

ডায়মন্ড হারবারে পদ্মের ‘নিশিকুটুম্ব’ কে ? অভিষেকের জয় তিলকে সূর্যের নব প্রদক্ষিণ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ডায়মন্ড হারবারে পদ্মের ‘নিশিকুটুম্ব’ কে ? অভিষেকের জয় তিলকে সূর্যের নব প্রদক্ষিণ

বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচনে লড়াই করেছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। লোকসভা নির্বাচনেও প্রাথমিকভাবে জোট বেঁধে নির্বাচনে লড়াই করার কথা ছিল। বামফ্রন্ট সমঝোতার সবদিকই খোলা রেখেছিল। বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফায় না গিয়ে একতরফাভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় আইএসএফ। তাঁদের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। আদৌও কি তাঁদের ধর্মনিরপেক্ষভাবে লড়াই করা মানসিকতা আছে ?‌

ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুর, উলুবেড়িয়া, বালুরঘাট ও ব্যারাকপুর লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে আইএসএফ।  বসিরহাট কেন্দ্রেও প্রার্থী বদল করা হয়েছে।অভিযোগের সত্যমিথ্যা, তথ্য প্রমাণ জানা নেই আমাদের। বলা হচ্ছে যে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরেরই হাত শক্ত করছে আইএএসএফ। যেমন ইতিপূর্বে অল ইন্ডিয়া মজলিস–ই–ইত্তিহাদুল মুসলিমিন কিংবা অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টও বিভিন্ন জায়গায় লড়াই করে সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত শক্ত করেছে। মুসলিম ভোটে ভাগ বসাতে পারবে না জেনে বিজেপি গোটা দেশ জুড়ে মেরুকরণের রাজনীতি করছে। তাবেদারে পরিণত করছে তথাকথিত সেকুলার দলগুলিকে।

লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার অনেক আগেই আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি ঘোষণা করেছিলেন, ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। সিপিআইএম ও কংগ্রেস চেয়েছিল ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে জোটের একজন প্রার্থীই লড়াই করুক।আসনটা নওশাদ সিদ্দিকির জন্য ফাঁকা রেখেছিল। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ঝুলিয়ে রেখে, প্রার্থী হলেন না নওশাদ। জোট থেকে বেরিয়ে এসে বৃহস্পতিবার ৫টি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছে আইএসএফ। ডায়মন্ডহারবারে মজনু লস্করকে প্রার্থী করেছে তাঁর দল। বিজেপি এখনও এ কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। আইএসএফের সঙ্গে জোট না হওয়ায় কংগ্রেস ও সিপিআইএম, যে কোনও একটি দল এবার ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থী দেবে। এতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের মার্জিন, তিনগুন বাড়বে বলে অনুমান অনেকের।

রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যায়, গেরুয়া সমর্থন নিয়ে কয়েকটি সেকুলার রাজনৈতিক দল লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করছে। এককভাবে রাজনৈতিক ময়দানে লড়াই করার অর্থ, সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত শক্ত করা। বাংলার রাজনৈতিক পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যাবে, আইএসএফের প্রভাব কয়েকটা জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ। দুই পরগনা, হুগলি, হাওড়া ও নদীয়ার কিছুটা। বাকি জেলাগুলিতে তেমন কোনও প্রভাব নেই।

আইএসএফ এর একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙড় থেকে নির্বাচিত। গত বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর জয়ের পেছনে সিপিআইএমের অবদান অনস্বীকার্য। নিজের দলের শক্তি দিয়ে নওশাদ সিদ্দিকির কখনোই জেতা সম্ভব ছিল না। ভাঙড় বিধানসভা যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।সেখানে আইএসএফ প্রার্থী দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, আইএসএফের প্রার্থী থাকার অর্থ বিজেপি–র হাত শক্ত করা। কারণ, মুসলিম ভোট সরাসরি বিজেপি বিরোধী। বিক্ষুব্ধদের ভোট তৃণমূলকে না দিয়ে আইএসএফ–এর বাক্সে যাবে, একথা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না । নওশাদের অজুহাত সর্বজনবিদিত। বলিয়ে কইয়ে উদীয়মান নেতা। কার সমর্থনপুষ্ট তিনি, সে এক রহস্য। বিজেপির গমক হয়তো বাড়িয়ে দিলেন প্রকারন্তরে। ভোটের ময়দান ছেড়ে, তাঁর ‘শান্তিকল্যানের’ রাস্তা দৃশ্যত নিরাপদ মনে হলেও, গোষ্ঠী নির্ভর রাজনীতি থমকে যেতে পারে, ক্রিয়া থেকে যে প্রতিক্রিয়ার জন্ম হয়, তাতে ভোটের লাইনে জনআবেগের বিস্ফোরণ প্রবলতর স্রোত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে বাংলা বিরোধী, ঐক্য বিরোধী আর্যাবর্তের রাজনৈতিক কোলাহলের বিরুদ্ধে।অবশ্যই ওই কেন্দ্রে লাভবান হবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।বাড়বে তাঁর ভোটের অঙ্ক।

 


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!