- দে । শ
- জুন ১০, ২০২৪
দীক্ষা নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গুরুকে খুন, লুটপাট ! অবশেষে গ্রেফতার শিষ্যা

দীক্ষা নেওয়ার টোপ গিলিয়ে গুরু ও গুরুপত্নীকে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে গুরুগৃহের সমস্ত জিনিসপত্র হাতালেন। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় গুরুর। এই অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করল শিষ্যাকে।
পূর্বস্থলীর বড়গাছি এলাকার ঘটনায় ধৃত শিষ্যা ঝর্ণা দাস নদিয়ার কল্যাণীর বাসিন্দা। পুলিশ ও এলাকা সূত্রের খবর, দিন ১৫ আগে গুরুগিরি করে সংসার চালানো বড়গাছি গ্রামের সুভাষ দেবনাথের বাড়িতে আসে ঝর্ণা। দীক্ষা নেওয়ার টোপ দেয় ঝর্ণা। রাজি হয়ে যান অশীতিপর সুভাষ। সেখানে গুরুদেব ও গুরুমাকে ব্যাথা নিরাময়কারী ওষুধ হিসাবে জোরাল মাদক খাইয়ে বেঁহুশ করে মোবাইল-সহ গুরুগৃহের যাবতীয় জিনিসপত্র লুটপাট করে চম্পট দেয় ঝর্ণা। সুভাষ ও তার স্ত্রী মায়ারানীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সুভাষকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনা জানার পর তদন্তে গতি বাড়ায় পুলিশ। এলাকার সিসিটিভির ফুটেজের ছবি দেখে শেষ পর্যন্ত সনাক্ত করে গতরাতে নদিয়ার কল্যাণীর বাড়ি থেকে গতরাতে পাকড়াও করে বছর আটচল্লিশের ঝর্ণাকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, তার বিরুদ্ধে ৩০৪ নং ধারা-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে কালনা মহকুমা আদালতে তুলে টিআই প্যারেডের জন্য আবেদন জানায় পুলিশ। বিচারক সেই মঞ্জুর করেন।
প্রাথমিক জেরায় পুলিশকে জানতে পেরেছে, সুভাষের সঙ্গে ট্রেনে পরিচয় হয় ঝর্ণার। এরপর ঝর্ণা দীক্ষা নেবে বলে সুভাষের ঠিকানা, ফোন নম্বর নেয়। সেই সূত্রেই গুরুবাড়িতে আগমন। গুরুদেব ও গুরুমায়ের বার্ধক্যজনিত কারণে হাতেপায়ের ব্যাথা নিরাময়ে নিমপাতা, হলুদের সঙ্গে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে তৈরি ভেষজ ওষুধ তাদেরকে খাইয়ে দিতে দুজনেই বেঁহুশ হয়ে পড়ে। সেই মওকায় আলমারি ভেঙে নগদ ১২ হাজার টাকা ও গয়না নিয়ে চম্পট দেয় ঝর্ণা। পুলিশ গয়না উদ্ধার করলেও টাকা উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশের দাবি একেবারে পরিকল্পনা করে ‘অপারেশন’ করেছে ঝর্ণা। ঝর্ণার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত আছে কিনা খোঁজখবর করছে পুলিশ।
❤ Support Us