আগামী ডিসেম্বরের ৪ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজের প্রস্তাব পেশ হবে। লোকসভায় বিজেপি সংখ্যাধিক্ষের জোরে মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজের প্রস্তাব পাশ করিয়ে নেবে।
বৃহস্পতিবার এথিক্স কমিটির বৈঠকে ৬টি ভোট মহুয়া মৈত্রর সাংসদপদ খারিজের পক্ষে পড়েছে আর মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ থাকার পক্ষে ভোট পড়েছে ৪টি। এথিক্স কমিটি বৃহস্পতিবার মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এথিক্স কমিটির অনুমোদিত এই প্রস্তাব লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে পাঠাচ্ছে।
টাকা এবং উপহারের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলা এবং লোকসভার পোর্টালে প্রবেশের পাসওয়ার্ড অন্যকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মহুয়ার বিরুদ্ধে। প্রথম অভিযোগ অস্বীকার করলেও দ্বিতীয়টি প্রকাশ্যেই মেনে নেন মহুয়া। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর এথিক্স কমিটি তৃণমূল সাংসদকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে স্পিকার ওম বিড়লার কাছে। এথিক্স কমিটির বৈঠকে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে ৫০০ পাতার খসড়া রিপোর্ট অনুমোদিত হয়েছে। এ বার এথিক্স কমিটি সেই রিপোর্ট পাঠাচ্ছে স্পিকারের কাছে। ডিসেম্বরে লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে ওই রিপোর্ট পেশ করা হবে। এথিক্স কমিটির রিপোর্ট নিয়ে মহুয়া মৈত্র তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, “এসব জানাই ছিল”।
এথিক্স কমিটি মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের সুপারিশ করলেও তা এখনই কিন্তু সিদ্ধান্ত নয়। স্পিকার এই প্রস্তাব পেশ করবেন সংসদের অধিবেশনে। বিরোধীরা আলোচনা চাইলে তা আদৌ স্পিকার গ্রহণ করবেন কি না সেটি তাঁর এক্তিয়ার। তবে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে, নিয়ম এমনটাই। এদিকে সংসদে বিজেপি সাংসদ সংখ্যার জোরে মহুয়া মৈত্রর সদস্যপদ খারিজের প্রস্তাব লোকসভায় পাশ করিয়ে নিতে পারবে সেটা নিশ্চিত।
এথিক্স কমিটি তাদের রিপোর্টে বলেছে, ‘‘মহুয়া মৈত্র এবং দর্শন হিরানন্দানির মধ্যে যে টাকার লেনদেন হয়েছে, কেন্দ্রের উচিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার আইনি এবং প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করা।’’ প্রসঙ্গত, বুধবারই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেছিলেন, মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় লোকপাল। এই নিশিকান্ত দুবেই প্রথম মহুয়ার বিরুদ্ধে ‘ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন’-এর অভিযোগ তুলে প্রথম চিঠি লিখেছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এথিক্স কমিটিকে তদন্ত করতে বলেন স্পিকার। এখন দেখার লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় কি না।