Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • অক্টোবর ২, ২০২৪

কাটোয়ার জামদানিতে সাজছে কলকাতার পুজোমণ্ডপ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
কাটোয়ার জামদানিতে সাজছে কলকাতার পুজোমণ্ডপ

কলকাতার স্বীকৃতি কাটোয়া-কালনার জামদানি শাড়িকে। কলকাতার দমদম পার্কের ভারতচক্র ক্লাবের দুর্গাপুজো উদ্যোক্তারা মণ্ডপ সাজাচ্ছেন জামদানিতে। জামদানিকে ‘থিম’ করে মণ্ডপটি নির্মাণ করছেন শিল্পী অদিতি চক্রবর্তী। শুধু তাই? দর্শকদের বাড়তি পাওনা হিসেবে জামদানির জন্ম আর সেকাল-একাল নিয়ে মণ্ডপে প্রদর্শিত হবে একটি তথ্যচিত্র। কালনা ও কাটোয়া মহকুমার তাঁত অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি থেকে বিভিন্ন ধরনের জামদানি সংগ্রহ করেছেন উদ্যোক্তারা। আর পুজো মণ্ডপে দেখানোর জন্য তৈরি তথ্যচিত্রটির ‘কারিগর’ সৌমাদিত্য মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, জামদানি শাড়ি তৈরির খুঁটিনাটি, সুতো কীভাবে রং করা হয়, সুতোর পরে সুতো সাজিয়ে কীভাবে শেষ পর্যন্ত একটা জামদানি শাড়ি আত্মপ্রকাশ করে, তাঁতশিল্পীদের কথা দিয়ে সাজানো হচ্ছে তথ্যচিত্রটি।

উল্লেখ্য যে, একসময় এই বাংলা জুড়ে জামদানি শাড়ির দারুণ ব্যবহার ছিল। বিশেষ করে মোগল আমলে জামদানির ব্যাপক প্রচলন ছিল। এমনকী জামদানি কাপড় দিয়ে শেরওয়ানিও বানানো হত। মাঝে এই শাড়ি উপেক্ষিত হয়েছিল। বর্তমান রাজ্য সরকার হাতে বোনা তাঁতকে গুরুত্ব দিতে নানান প্রকল্প ও পরিষেবা চালু করায় ও বিপণন নিশ্চিত করায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলার ঐতিহ্যের জামদানি। জামদানি বুনতে বুনতে বলছিলেন ঘোড়ানাশ গ্রামের তাঁতশিল্পী জগবন্ধু দালাল। বছরখানেক আগে শাড়ির ‘জমিতে’ সুতোর কারিকুরিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অবয়ব বুনে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন এই জগবন্ধু। তিনি আরেক জানালেন, ‘বিক্রি ভাল হচ্ছে। চাহিদাও ভালই। তাই এলাকায় জামদানি বোনার বহর বেড়েছে।

রাজ্য, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও কদর বাড়ছে বাংলার জামদানির। জামদানি শাড়ি দেখতে বেনারসীর মত। দাম পড়ে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে। প্রবাসী বাঙালি পাত্রীরা ইদানিং বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন এখানকার তাঁতিদের বোনা জামদানি পরে। কাটোয়া ২নং ব্লকের জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের ঘোড়ানাশ, মুস্থুলি-সহ বিভিন্ন গ্রামের হাজার দুয়েকের উপর বাসিন্দার জীবিকা তাঁত। এখানকার হস্তচালিত তাঁতবস্ত্রের কদর এতটাই ছড়িয়েছে যে, নোবেল লরিয়েট অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি দলবল নিয়ে এখান থেকে প্রচুর তাঁতবস্ত্র সামগ্রী কিনে নিয়ে গিয়েছেন। ঘোড়ানাশ গ্রামের সুশান্ত দে-সহ এলাকার তাঁতশিল্পীদের বোনা জামদানি বিদেশেও বিক্রি হয়। এখানকার তাঁতিদের বোনা জামদানি গত ২/৩ বছরে মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানো হয়েছে। চিন, শ্রীলঙ্কা, ব্রিটেন থেকেও বরাত মিলছে। ভিনরাজ্য কর্ণাটক, হায়দ্রাবাদ, তামিলনাড়ু, মণিপুর থেকেও এবার ভাল অর্ডার এসেছে। অর্ডার সামাল দিতে দিনরাত এক করে তাঁতঘরে শ্রম দিচ্ছেন তাঁতিরা।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!