- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- আগস্ট ৩১, ২০২৩
ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি, গোয়াকে হারিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সামনে মোহনবাগান

চিত্র: টুইটার
ডুরান্ড কাপ ফাইনালে আবার ডার্বি। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে এফসি গোয়াকে ২–১ ব্যবধানে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সামনে এবার ইস্টবেঙ্গল। এদিন মোহনবাগানের হয়ে দুটি গোল করেন জেসন কামিন্স ও আর্মান্দো সাদিকু।
ম্যাচের আগের দিন এফসি গোয়া কোচ মানেলো মার্কুয়েস হুমকি দিয়েছিলেন, মোহনবাগানকে ছেড়ে কথা বলবেন না। তাঁর সেই কথা যে ফাঁকা আওয়াজ ছিল না, ম্যাচের শুরু থেকেই বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন গোয়ার ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে অধিকাংশ সময়ই বলের দখল ছিল নোয়া সাদোই, কার্লোস মার্টিনেজদের পায়ে। তার মাঝেই ১৭ মিনিটে গোলের সুযোগ এসে গিয়েছিল মোহনবাগানের সামনে। পেত্রাতোসের শট ঝাঁপিয়ে বাঁচান এফসি গোয়া গোলকিপার ধীরাজ। ২৩ মিনিটে এগিয়ে যায় এফসি গোয়া। হুগো বোমাসের ভুল পাস ধরে একক প্রয়াসে এগিয়ে গিয়ে বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন নোয়া সাদোই।
এগিয়ে যাওয়ার পরও আক্রমণের গতি কমায়নি এফসি গোয়া। ৩২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন নোয়া। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। ৩৮ মিনিটে নোয়ার একটা শট গোললাইন থেকে সেভ করেন মোহনবাগান ডিফেন্ডাররা। পরের মিনিটেই সমতা ফেরায় মোহনবাগান। বল নিয়ে বক্সে ঢোকার মুখে আশিক কুরুনিয়ানকে ফাউল করা হয়। রেফারি প্রথমে ফ্রিকিকের নির্দেশ দেন। সহকারী রেফারি জানান বক্সের মধ্যে ফাউল হয়েছে। রেফারি সিদ্ধান্ত বদলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান জেসন কামিন্স।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফেরে মোহনবাগান। আক্রমণে গতি বাড়ায়। ৫৭ মিনিটে হুগো বোমাসকে তুলে নিয়ে আর্মান্দো সাদিকুকে মাঠে নামান সবুজমেরুণ কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ৬১ মিনিটে তাঁর পায়েই আসে জয়সূচক গোল। মাঝমাঠ থেকে ভেসে আসা বল সন্দেশ ঝিঙ্ঘান ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে সেই বল ধরে বক্সের বাইরে থেকে উঁচু শটে গোল করেন এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। শেষ দিকে মরিয়া হয়ে উঠলেও সমতা ফেরাতে পারেনি মোহনবাগান। বেশ কয়েকটা দুর্দান্ত সেভ করে দলকে ফাইনালে তোলেন বিশাল কাইথ।
❤ Support Us