- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- আগস্ট ২৭, ২০২৪
দুরন্ত বিশাল কাইথ, টাইব্রেকারে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে ডুরান্ড ফাইনালে মোহনবাগান
২ গোলে পিছিয়ে পড়েও এভাবে ফিরে আসা যায়! মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের খেলা না দেখলে বিশ্বাস করা খুবই কঠিন। ২ গোলের ব্যবধান ঘুঁচিয়ে ম্যাচ টাইব্রেকারে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে বেঙ্গালুরু এফসি–কে ৪–৩ ব্যবধানে হারিয়ে ডুরান্ত কাপের ফাইনালে উঠল মোহনবাগান। টাইব্রেকারে দুটি শট বাঁচিয়ে মোহনবাগানকে ফাইনালে তুললেন বিশাল কাইথ। কোয়ার্টার ফাইনালেও পাঞ্জাব এফসি–র বিরুদ্ধে দুটি শট বাচিয়েছিলেন।
বেঙ্গালুরু এফসি–র বিরুদ্ধে এদিন পূর্ণ শক্তির দল নামিয়েছিল মোহনবাগান। শুরু থেকেই মাঠে দিমিত্রি পেত্রাতোস। জেসন কামিংসের সঙ্গে তাঁকে আক্রমণভাগে রেখেছিলেন কোচ হোসে মোলিনা। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুর প্রথম একাদশে ছিলেন সুনীল ছেত্রী। দুই কোচই শক্তিশালী দল নামালেও প্রথমার্ধের খেলা তেমন জমেনি। সেভাবে গোলের সুযোগও তৈরি হয়নি। দুই দলের কাছেই বলের দখল ছিল সমান সমান। তার মাঝেই মোহনবাগান দু–একবার হানা দিয়েছিল বেঙ্গালুরু বক্সে। তবে কাজের কাজ কিছু করতে পারেনি।
৪৩ এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু এফসি। বল নিয়ে ডানদিক দিয়ে বক্সে ঢুকছিলেন বিনিত। বক্সে ঢোকার মুখে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন লিস্টন কোলাসো। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে সুনীল ছেত্রী। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোল করার ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন সুনীল। ৪৫ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের সামনে। লিস্টন কোলাসোর শট বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীত সিংয়ের হাত ছুঁয়ে পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়। ইনজুরি সময়ে আবার বেঙ্গালুরুকে বাঁচিয়ে দেয় পোস্ট। অনিরুদ্ধ থাপার ফ্রিকিকে হেড করেছিলেন আলবার্তো রডরিগেজ। বল পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। প্রথমার্ধের শেষ ৫ মিনিট আক্রমণে ঝড় তুলেও সমতা ফেরাতে পারেনি মোহনবাগান। পোস্ট বাধা হয়ে না দাঁড়ালো ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ত।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়ানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে বেঙ্গালুরু। ৪৯ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন বিনিত। ২ মিনিট পরেই ভুলের প্রায়াশ্চিত্য করেন বিনিত। মোহনবাগান রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে যায় পেরেইরা দিয়াজ। মোহনবাগান গোলকিপার গোল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। দিয়াজের কাছ থেকে বল পেয়ে ফাঁকা গোলে পাঠান বিনিত। ৬০ মিনিটে ব্যবধথান কমানের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীতের মিস কিক থেকে বল পেয়ে গিয়েছিলেন। ৬ বক্সের মধ্যে থেকে ফাঁকা গোল পেয়েও হেডে বল তিন কাঠিতে রাখতে পারেননি।
অবশেষে ৬৬ মিনিটে ব্যবধান কমায় মোহনবাগান। মনবীর সিংকে ফাউল করা হলে পেনাল্টি পায়। পেনাল্টি থেকে গোল করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ৮৪ মিনিটে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল ক্লিয়ার করেন বেঙ্গালুরুর এক ডিফেন্ডার। লুজ বল চলে আসে বক্সের বেশ কিছুটা বাইরে দাঁড়ানো অনিরুদ্ধ থাপার কাছে। গড়ানো শটে তিনি সমতা ফেরান। বাকি সময়ে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
মোহনবাগানের হয়ে প্রথম শটে গোল করেন জেসন কামিংস। ১–১ করেন মেন্ডেজ। মনবীরের শটে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। মোহনবাগানের হয়ে তৃতীয় শটে গোল করেন লিস্টন কোলাসো। পেত্রাকাপার গোলে ৩–৩। চতুর্থ শটে মোহনাবাগানের হয়ে গোল করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। বেঙ্গালুরুর হোলিচরণ নার্জারির শট আটকে দেন বিশাল কাইথ। গ্রেগ স্টুয়ার্ট শেষ শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বেঙ্গালুরুকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন গুরপ্রীত সিং। কিন্তু বেঙ্গালুরুর শেষ শট আটকে দলকে ফাইনালে তোলেন বিশাল কাইথ।
❤ Support Us