- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- আগস্ট ৩১, ২০২৪
মোহনবাগানকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ডুরান্ড কাপে চ্যাম্পিয়ন নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেড

কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে বাঁচিয়ে দিয়েছিল বিশাল কাইথের হাত। প্রতি ম্যাচেই তিনি দলকে বাঁচাবেন, ভাবাটাই ভুল। ফাইনালে অবশ্য কাইথ ‘বিশাল’ হয়ে উঠতে পারলেন না। খেতাবও এল না বাগানে। ফাইনালে টাইব্রেকারে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের কাছে ৪–৩ ব্যবধানে হেরে টানা দুবার ডুরান্ড কাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের। প্রধমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে গিয়েও জয় এল না। ঘরের মাঠে মরশুমের প্রথম ট্রফি জয় অধরাই থাকল সবুজ–মেরুনের। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ২–২। এই প্রথম ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হল নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেড।
ফাইনালে দাপট নিয়েই শুরু করেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট, জেসন কামিংসরা। ম্যাচের ১১ মিনিটেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। সাহাল আব্দুল সামাদকে বক্সের নিজেদের বক্সের মধ্যে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন আশির আখতার। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন জেসন কামিংস। ১৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল গ্রেগ স্টুয়ার্টের সামনে। বল তিনকাঠিতে রাখতে পারেননি।
শুরুতেই গোল পেয়ে মনোবল অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল মোহনবাগান ফুটবলারদের বারবার আক্রমণ তুলে নিয়ে এলেও ব্যবধান বাড়াতে পারছিল না। এর মধ্যে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় মোহনবাগান। চোট পেয়ে উঠে যান আলবার্তো রডরিগেজ। তাঁর জায়গায় মাঠে নামেন আশিস রাই। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ের শেষ মুহূর্তে ব্যবধান বাড়ায় মোহনবাগান। বাঁদিক থেকে উঠে এসে লিস্টন কোলাসো বক্সে ঢুকে পাস দেন সাহালকে। গোল করতে ভুল করেননি সাহাল।
প্রথমার্ধে মোহনবাগানের যে দাপট ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে সম্পূর্ণ অন্য ছবি। শুরু থেকেই মোহনবাগানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেড। নর্থ–ইস্টের আক্রমণের সামনে দিশেহারা লাগছিল মোহনবাগানকে। আলবার্তো রডরিগেজের না থাকাটা আরও সমস্যায় ফেলে দেয়। ৫৫ মিনিটে বিনিথের পাস থেকে ব্যবধান কমান আজারাইস। বাগান রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে নর্থ ইস্টকে সমতায় ফেরান গুলেরমো। দ্বিতীয়ার্ধে বিশাল কাইথ বেশ কয়েকটা ভাল সেভ না করলে নির্ধারিত সময়েই ম্যাচ জিতে যেত নর্থ ইস্ট। নির্ধারিত সময়ে ২–২ থাকার পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে মোহনবাগান সমর্থকরা তাকিয়েছিল বিশাল কাইথের দিকে। এদিন অবশ্য আর পরিত্রাতায় ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেননি বাগান গোলকিপার। টাইব্রেকারে প্রথমে শট বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছিলেন জেসন কামিংস। রেফারি আবার তাঁকে শট মারার নির্দেশ দেন। দ্বিতীয়বার অবশ্য গোল করেন কামিংস। মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোল করেন মনবীর সিং। লিস্টন কোলাসোর শট আটকে দেন নর্থ–ইস্ট গোলকিপার গুরমিত সিং। চতুর্থ শটে গোল করেন দিমিত্র পেত্রাতোস। শুভাশিস বসুর শট আটকে দেন গুরমিত। অন্যদিকে, নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেডের হয়ে গোলগুলি করেন গুলেরমো, জাবাকো, পার্থিভ গগোই, আজারাইস। পঞ্চম শট মারার দরকার হয়নি।
❤ Support Us