শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
ডিওয়াইএফআই -র ৪৪ টম প্রতিষ্ঠা দিবস ৩ নভেম্বর। ওই দিনই কোচবিহার থেকে পায়ে হেঁটে “ইনসাফ যাত্রা” শুরু করছে ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন বা ডিওয়াইএফআই। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবিষয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন আগামী ৭ জানুয়ারী ব্রিগেড সমাবেশের মধ্যদিয়ে এই “ইনসাফ যাত্রা” শেষ হবে। সম্প্রতি বিমান বসু কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে যুব ও তরুণ প্রজন্মকে আরও বেশি করে আন্দোলনমুখী হতে বলেছেন।সেই লক্ষ্যেই রাজ্যের পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই “ইনসাফ যাত্রা” ৩ নভেম্বর, কোচবিহার থেকে শুরু হচ্ছে, যা চলবে টানা দু’মাস ধরে।
কেন এই “ইনসাফ যাত্রা”, সিপিএম-এর এই যুব সংগঠনের নেতৃত্ব মনে করে রাজ্যের এই চোর, দুর্নীতিবাজদের নিয়ে চোর-পুলিশ খেলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই। লড়াইটা তাই রাজ্য ও কেন্দ্র,দুইয়ের বিরুদ্ধে। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন,”দুর্নীতিবাজ, দাঙ্গাবাজদের হাত থেকে রাজ্যকে, দেশকে সুরক্ষিত করতে আমরা পায়ে পা মিলিয়েছি। প্রায় দু’মাস রাস্তায় থেকে ৭ জানুয়ারী আমরা ব্রিগেডে সমাবেশ করব। এই দু’মাস ধরে আমাদের দলের কর্মীরা রাজ্যের প্রতিটি বুথে, রাস্তায় পৌঁছে বেঁচে থাকার ইস্যুগুলিকে মানুষের সামনে তুলে ধরবেন। আমরা দীর্ঘদিন ঘরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলে আসছি, তাই এবার রাজ্যের দুর্নীতিবাজ নেতামন্ত্রীদের মানুষ চিনতে পারছেন। আর আমরা এসব বলছি দেখে আমাদের ওপর আক্রমণ নেমে আসছে। তবে দুর্নীতিবাজদের এই সংন্ত্রাসে আমরা ভয় পাইনা। ওরা নিজেরাই এখন দুর্নীতির দায়ে লুকোবার জায়গা পাচ্ছে না।”
৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার কোচবিহার থেকে “ইনসাফ যাত্রা” শুরু হয়ে ৪ নভেম্বর আলিপুরদুয়ার জেলা ঘুরে ৫ নভেম্বর জলপাইগুড়ি পৌঁছবে।
৬ নভেম্বর এই “ইনসাফ যাত্রা” দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়িতে পৌঁছবে। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ হয়ে এই “ইনসাফ যাত্রা” শেষ পর্যন্ত আগামী ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশে এসে শেষ হবে। ব্রিগেডে ৭ জানুয়ারী সমাবেশের ডাক দিয়েছে ডিওয়াইএফআই।
রাজ্যের যে সমস্ত জায়গা অতিক্রম করবে “ইনসাফ যাত্রা” সেই সমস্ত ব্লক, সমস্ত জেলা সমস্ত বুথে প্রচার চলবে। সংশ্লিষ্ট নেতৃত্ব সেখানে উপস্থিত থাকবেন। নসাফ যাত্রা জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটে পৌঁছবে ৪ নভেম্বর রাতে। ৫ নভেম্বর বানারহাট থেকে ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি হয়ে রাতে পৌঁছাবে জলপাইগুড়ি শহরে। সকালে জাঠা শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। জলপাইগুড়িতে জেলার সমাবেশ হবে রাজগঞ্জের সন্ন্যাসী কাটা এলাকায়। দু’মাস ধরে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ হয়ে এই “ইনসাফ যাত্রা” শেষ হবে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের সমাবেশের মধ্য দিয়ে।
মীনাক্ষী এদিন বলেন, “ব্রিগেডের জন্য, “ইনসাফ যাত্রা”-র জন্য দিওয়াইএফআই-এর ৪ হাজার ইউনিট কমিটির কাছে কৌটো নিয়ে সংগঠনের কর্মীরা যাবেন তহবিল সংগ্রহের জন্য। এছাড়া আমাদের দলের কর্মীদের দৈনিক আয়ের ১% এই খরচ বহনের জন্য দেবে। আমাদের কর্মীদের কাছে কৌটো দিয়েছি, তাতে তাঁরা তাঁদের নাম,ঠিকানা,ফোন নম্বর লিখে মানুষের বাড়িতে দিয়ে আসবেন। একমাস পর বেঁচে থাকার লড়াইয়ের জন্য এই তহবিল সংগৃহীত হবে। কাঁধে ঝান্ডা নিয়ে, ঝান্ডার জোরে আমরা এই ইনসাফ যাত্রা করবো। তৃণমূল সরকারটা রাজ্যে না আসলে বোঝা যেতোনা এতভাবে দুর্নীতি করা যায়। আর কেন্দ্রে বিজেপির মতো একটা সরকার না থাকলে বোঝা যেত না মজুতদারি আইনকে এতো সহজে তুলে দেওয়া যায়। আমাদের আন্দোলন এসবের বিরুদ্ধে।”
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34