- দে । শ
- নভেম্বর ১১, ২০২৩
কাশ্মীরে তুষারপাত, মুগ্ধ পর্যটকরা
শরতে লাল রঙের চিনার পাতার জাদু দেখতে গিয়েছিলেন পর্যটকরা। গুলমার্গে গিয়ে অন্য ছবি। শেষ পর্যন্ত তুষারপাতের আনন্দ উপভোগ করতে হল। কাশ্মীরে অকাল তুষারপাতে মুগ্ধ পর্যটকরা। অনেকেই জীবনে প্রথমবার তুষারপাতের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করলেন।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় তুষারপাত শুরু হয়েছে। শুক্রবার গোটা দিনও তুষারপাত। কোথাও ভারী, কোথাও আবার হালকা। তুষারপাতের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি রাস্তাও। তুষারপাতের খবর শুনে শ্রীনগর থেকে অনেকেই হাজির হয়েছেন গুলমার্গে।
চলতি মরশুমে প্রথম তুষারপাত গুলমার্গে। গুলমার্গ, সোনমার্গ, জোজিলা পাস, রাজ দান পাস, পীর কি গলি এলাকায় ভারী তুষারপাত হলেও, সমতলে অবশ্য বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির জন্য জেরে তাপমাত্রা হু হু করে নামতে শুরু করেছে। উপত্যকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা। অনেকেই বরফের কাঠামো তৈরি করছিলেন। অনেকেই আবার বরফের ওপর মধ্যে স্লাইডিং এবং স্কেটিং করছিলেন। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
দিল্লির এক পর্যটক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা যখন শ্রীনগরে ছিলাম, শুনলাম যে আবহাওয়া পাল্টে যাচ্ছে। তাই তড়িঘড়ি শ্রীনগর থেকে এখানে এসে উপত্যকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছি। যদি স্বর্গকে উপভোগ করতে চান, তবে গুলমার্গে যেতে হবে।’ ওড়িশার পর্যটক অসীম কুমার রাউত বলছিলেন যে, ‘এই সময় তুষারপাতের আশা করিনি। আমরা জীবনে প্রথমবার এইরকম তুষারপাত দেখলাম।’
বাংলার পর্যটক সুহেল আহমেদ সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের মুগ্ধতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই প্রথমবার কাশ্মীরে এসেছি। একে পৃথিবীর স্বর্গ বলা হয়। আমরা প্রথমে পহেলগাঁও এবং সোনমার্গ গিয়েছিলাম। সেখান থেকে গুলমার্গে এসেছি। এখানে প্রথমবার তুষারপাতের সম্মুখীন হলাম।’
❤ Support Us