Advertisement
  • এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪

‌শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে টানা দ্বিতীয় ডার্বি জয় হাতছাড়া ইস্টবেঙ্গলের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
‌শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে টানা দ্বিতীয় ডার্বি জয় হাতছাড়া ইস্টবেঙ্গলের

শনিবার মাঠে নামার আগে আইএসএলে ৬ বার মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। ৬ বারই জিতেছিল মোহনবাগান। চলতি মরশুমে ডুরান্ড কাপ ও সুপার কাপে ৩ বার মুখোমুখি হয়েছিল দুই প্রধান। ৩ বারের সাক্ষাৎকারে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। চলতি মরশুমে রেকর্ড আরও উন্নত করার সুযোগ ছিল লাল–হলুদের সামনে। ম্যাচের ৮৬ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হল না। শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া ইস্টবেঙ্গলের। ম্যাচের ফল ২–২।

কার্লেস কুয়াদ্রাতের দর্শন আক্রমণাত্মক ফুটবল। যত কঠিন ম্যাচই হোক, নিজের দর্শন থেকে সরে আসেন না লাল–হলুদ কোচ। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আইএসএলের ডার্বিতেও সেই একই স্ট্র‌্যাটেজি। শুরুতেই আক্রমণে ঝড় বইয়ে ৩ মিনিটে গোল তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। বাঁদিক থেকে উঠে মহেশ সিং বল দেন নিশু কুমারকে। তাঁর সেন্টারে ফ্লিক করে বল জালে পাঠান অজয় ছেত্রি। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম গোল। ২ বছর আগে জামশেদপুর এফসি–র বিরুদ্ধে ৯৮ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন ভিপি সুহের।

ইস্টবেঙ্গলের গোলের পরই আরও একটা ধাক্কা খায় মোহনবাগান। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা আনোয়ার আলি। ১৭ মিনিটে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। ব্রেন্ডন হামিলের নীচু ক্রসে পা ছুঁইয়ে গোল করেন আর্মান্দো সাদিকু। ২৩ মিনিটে আরও একটা গোল লক্ষ্য করে জোরালো শট নিয়েছেন মোহনবাগানের এই স্ট্রাইকার। বল সরাসরি ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুখন গিলের বিশ্বস্ত হাতে জমা হয়।
সমতা ফেরানোর পর একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলও সমান তালে পাল্লা দিচ্ছিল। আক্রমণ প্রতি–আক্রমণে খেলা দারুণ জমে ওঠে। ৪০ মিনিটে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন সাদিকু। বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন। দুরন্ত গতিতে খেলা হলেও কোনও দলই আর গোল তুলে নিতে পারেনি। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফল থাকে ১–১।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও আক্রমণ প্রতি–আক্রমণে খেলা জমে উঠেছিল। শুরুতেই মোহনবাগানকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ এসেছিল পেত্রাতোসের সামনে। তাঁর দুর্বল শট আটকাতে অসুবিধা হয়নি প্রভসুখনের। ৫৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ক্লেইটনের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের মধ্যে ভাসিয়েছিলেন নন্দ কুমার। মহেশ সিং হেড করতে উঠলে তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা দেন দীপক টাংরি। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। ঠান্ডা মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ক্লেইটন সিলভা।

৭৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। বিষ্ণুর বাড়ানো বল সুবিধাজনক জায়গায় পেয়েও তিন কাঠিতে রাখতে পারেননি নন্দ কুমার। ২ মিনিট পরই বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া পার্ডোর গোলার মতো শট বাঁচিয়ে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন বাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ। অবশেষে ৮৬ মিনিটে সাহালের পাস থেকে বল পেয়ে সমতা ফেরান পেত্রাতোস। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে দু’‌দুবার দলকে জেতানোর সুযোগ পেয়েছিলেন নন্দ কুমার। কিন্তু বল জালে রাখতে পারেননি। আইএসএলে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জয় অধরাই থেকে গেল ইস্টবেঙ্গলের।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!