ইস্টবেঙ্গলের কাছে সব ম্যাচই এখন নক আউট। হারলেই প্লে–অফের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে। এই অবস্থায় সোমবার চেন্নাইন এফসি–র বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল লাল–হলুদ ব্রিগেড। চেন্নাইনকে ১–০ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম ছয়ে থাকার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল। নন্দ কুমারের গোলে ১৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে ৮ নম্বরে উঠে এল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল।
জয়ের লক্ষ্যো ঘরের মাঠে আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। শুরুতেই সুবিধাজন জায়গায় ফ্রিকিক পেয়ে ক্লেইটন জালে রাখতে পারেননি। বল সরাসরি চেন্নাইন গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদারের হাতে চলে যায়। পেনিট্রেটিভ জোনে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছিলেন ক্লেইটন সিলভা, ফেলিসিও ব্রাউনরা। ক্লেইটন সিলভা একটু পেছন থেকে খেলায় আক্রমণভাবে বারবার একা হয়ে পড়ছিলেন ফেলিসিও।
প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় চেন্নাইন এফসি–র সামনে গোলের সুযোগ বেশি এসেছিল। ১০ মিনিটে লাল–হলুদ বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন জর্ডান মারে। কিন্তু কাজের কাজ করতে পারেননি। ২৯ মিনিটে রহিম আলির পাস থেকে বল পেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ফারুখ চৌধুরি। ইস্টবেঙ্গল আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করলেও প্রথমার্ধের খেলা যত গড়িয়েছে, দাপট দেখিয়েছে চেন্নাইন।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। কার্লেস কুয়াদ্রাতের তিনটি পরিবর্তন দারুণ কাজে দেয়। ফেলিসিওকে তুলে নিয়ে বিষ্ণুকে নামান। নিশু কুমারকে তুলে মন্দার রাও দেশাই, আর রাকিপকে তুলে আলেকজান্ডার প্যান্টিচকে নামান। প্যান্টিচ ও মন্দার আশায় রক্ষণ আরও মজবুত হয়। এর ফলে ক্লেইটন, মহেশরা আরও আক্রমণে যাওয়ার ব্যাপারে সাহসী হন। বিষ্ণু নামায় আক্রমণে আরও গতি বাড়ে।
ম্যাচের ৬৫ মিনিটের মাথায় কর্ণার থেকে জর্ডান মারের মাথায় বল লেগে একেবারে ডানদিকে অরক্ষিত নন্দ কুমারের কাছে চলে যায়। নন্দ কুমারের ডান পায়ের জোরালো শট বিকাশের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। এগিয়ে যাওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল চাপ অব্যাহত রেখেছিল। ৮৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল ক্লেইটন সিলভার সামনে। বিষ্ণুর পাস থেকে তিনি গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন। সার্থুক গোলুইয়ের পায়ে লেগে বল বেরিয়ে যায়।