২ গোলে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

প্রথমার্ধের ২৭ মিনিটের মধ্যেই দু’‌গোলে পিছিয়ে পড়া। সেখান থেকে দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফল ৩–৩। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে বাজিমাত। সেমিফাইনালে মুথুট এফসি–কে টাইব্রেকারে ৪–৩ ব্যবধানে হারিয়ে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগের ফাইনালে উঠল ইস্টবেঙ্গল। ১৮ মে ফাইনালে লাল–হলুদের সামনে পাঞ্জাব এফসি।
মঙ্গলবার ম্যাচের ১৪ মিনিটের মাথায় মহম্মদ আশারের গোলে এগিয়ে যায় মুথুট এফসি। ২৭ মিনিটের মাথায় মুথুটের হয়ে ব্যবধান বাড়ান উমের মুহথা। প্রথমার্ধে আরও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল মুথুট এফসি–র সামনে। দু’‌দুবার ক্রসবার তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ইস্টবেঙ্গলের একটা গোল অফসাইডের জন্য বাতিল করে দেন রেফারি। প্রথামার্ধে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল মুথুট এফসি।
দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জের দুটি পরিবর্তন বদলে দেয় লাল–হলুদকে। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া বিনো জর্জ মাঠে নামান পি ভি বিষ্ণু ও সুমন দে–কে। এতেই বদলে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৫৭ মিনিটে শ্যামল বেসরার গোলে ব্যবধান কমায়। ২ মিনিট পরেই সমতা ফেরান পি বি বিষ্ণুর। এরপর একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে মুথুট এফসি–কে ফালাফালা করে দেয় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে সুমন দে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে ৩–২ ব্যবধানে  এগিয়ে দেন। ইস্টবেঙ্গলের জয় যখন নিশ্চিত, তখনই ধাক্কা। ইনজুরি সময়ে গোল করে মুথুটকে সমতায় ফেরান আদিল আবদুল্লাহ। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে বাজিমাত ইস্টবেঙ্গলের।
অন্য সেমিফাইনালে, পাঞ্জাব এফ সি টাইব্রেকারে ৪–২ ব্যবধানে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু এফ সি–কে। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল গোলশূন্য।