- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- আগস্ট ২৯, ২০২২
ডার্বি জিতলেও মন ভরাতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান!
কলকাতার ফুটবল মানেই তো ইস্টবেঙ্গল–মোহনবাগান। করোনার দাপটে আইএসএল চলে গিয়েছিল গোয়ায়। আড়াই বছর পর আবার কলকাতায় ফিরে এল ডার্বি।

চিত্র সংগৃহীত
করোনা কেড়ে নিয়েছে অনেককিছু। কেড়ে নিয়েছিল কলকাতা ফুটবলের আবেগ। কলকাতার ফুটবল মানেই তো ইস্টবেঙ্গল–মোহনবাগান। করোনার দাপটে আইএসএল চলে গিয়েছিল গোয়ায়। ‘ক্লোজ ডোর’ স্টেডিয়ামে। আড়াই বছর পর আবার কলকাতায় ফিরে এল ডার্বি। ফিরে এল বাঙালীর ফুটবলের আবেগ। সেই ডার্বির হাত ধরে। রবিবার শহরের রাজপথ মেতে উঠেছিল ফুটবল জোয়ারে।
আড়াই বছর পর যুবভারতীতে ডার্বি। গ্যালারিতে সেই চেনা উন্মাদনা। লালহলুদ–সবুজমেরুণ পতাকায় গোটা স্টেডিয়াম রঙীন।
গ্যালারির মতো কি ম্যাচটা রঙীন হয়ে উঠেছিল? একেবারেই না। ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে দুই দলের সামনে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না। দুর্দান্ত একটা ম্যাচের সবরকম রসদই মজুত ছিল। প্রথমার্ধে ম্যাড়মেড়ে ফুটবল। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য অন্য ছবি। দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেন দুই দলের ফুটবলাররা। আক্রমণ–প্রতিআক্রমণে জমে উঠেছিল ম্যাচ। যদিও মরণবাঁচন ম্যাচে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা দিয়ে বাজিমাত এটিকে মোহনবাগানের। সুমিত পাসির ‘উপহার’ দেওয়া আত্মঘাতী গোলে জয় এটিকে মোহনবাগানের। একই সঙ্গে টিকে রইল ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন।
প্রথমার্ধের খেলা দেখে মনে হয়েছিল, কোনও দলের কোচই ঝুঁকি নিতে চাননি। তার মধ্যেই আধিপত্য ছিল এটিকে মোহনবাগনের। ইমামি ইস্টবেঙ্গল তাঁর দলের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল। তা সত্ত্বেও শুরু থেকে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেননি সবুজমেরুণ কোচ। প্রথমার্ধে বিক্ষিপ্ত লগ্নে আশিক কুরুনিয়ান, লিস্টন কোলাসো, হুগো বুমোসরা লালহলুদ ডিফেন্সে হানা দিলেও ইভান গঞ্জালেস, কিরিয়াকোরা সজাগ থাকায় কাজের কাজ কিছু হয়নি। প্রথমার্ধে সবাই যখন ধরে নিয়ে ম্যাচ গোলশূন্য থাকতে চলেছে, তখনও সুমিত পাসির আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় এটিকো মোহনবাগান। লিস্টনের কর্ণার সুমিত পাসির বুকে লেগে গোলে ঢুকে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে একেবারে ভিন্ন ছবি। সমতা ফেরানোর জন্য শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে উঠেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ৫ মিনিটের মধ্যে দু–দুটি সুযোগও তৈরি হয়। ৪৭ মিনিটে ক্লেইটন সিলভার সেন্টার এটিকে মোহনবাগান রক্ষণে বিপদমুক্ত হয়ে ফিরলে ফিরতি বলে শট নেন অনিকেত যাদব। বল অল্পের জন্য বাইরে যায়। এক মিনিট পরেই সেই ক্লেইটন সিলভার সেন্টার এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথকে একা পেয়েও জালে রাখতে পারেননি সুমিত পাসি। গোলটি করতে পারলে ভুলের প্রায়াশ্চিত্য হত। গতবছর আইএসএলে দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছিল জুয়ান ফেরান্দোর এটিকে মোহনবাগান। জিতলেও মরশুমের প্রথম ডার্বিতে মন ভরাতে পারেনি সবুজমেরুণ।
❤ Support Us