- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
ক্লেইটনের গোলে হায়দরাবাদকে হারিয়ে ৮ নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল
লিগ টেবিলের নীচের দিকে থাকা দুই দলের লড়াই। প্লে অফের লড়াইয়ে থাকতে গেলে জেতা ছাড়া কোনও রাস্তা ছিল না ইস্টবেঙ্গলের সামনে। পরপর ২ ম্যাচ হারের পর ঘুরে দাঁড়াল লালহলুদ ব্রিগেড। হায়দরাবাদ এফসি–কে ১–০ ব্যবধানে হারিয়ে প্লে অফের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখল। এদিন লালহলুদের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান ক্লেইটন সিলভা।
হায়দরাবাদ এফসি–র বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে লালহলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বলেছিলেন, লিগের বাকি সব ম্যাচই তাঁর দলের কাছে ফাইনাল। ফুটবলারদের সেইভাবেই খেলার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু লিগ টেবিলের নিচে থাকা দলের বিরুদ্ধে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। হায়দরাবাদের স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় ভাগ্যের জোরে ইস্টবেঙ্গল ৩ পয়েন্ট পেল একথা বলা যেতেই পারে।
ম্যাচের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গল সীমানায় হানা দিয়েছিল হায়দরাবাদ। ৩ মিনিটে বাঁদিক থেকে বল পেয়ে ঢুকে গিয়েছিলেন মাকান ছোটে। তাঁর শট ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুখন গিল বেরিয়ে এসে বাঁচিয়ে কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেন। আস্তে আস্তে খেলায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। তবে মাঝমাঠেই খেলা সীমাবদ্ধ থাকছিল। ১১ মিনিটে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। বাঁদিক থেকে উঠে এসে সেন্টার করেছিলেন নিশু কুমার। হায়দরাবাদ গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে হেডে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ক্লেইটন সিলভা।
২০ মিনিটে প্রতিআক্রমণে উঠে এসে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন ক্লেইটন সিলভা। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। ৪১ মিনিটে দিনের সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন ক্লেইটন। গোলের মুখে ফেলিসিও পাস দিয়েছিলেন। ক্লেইটনের দুর্বল শট বাঁচিয়ে দেন গুরমিত। আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি ক্লেইটন। তিনি এদিন ফেরায় ইস্টবেঙ্গল আক্রমণভাগকে অনেক বেশি সপ্রতিভ মনে হচ্ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। ভাসকোয়েজের সেন্টারে হেড করেছিলেন হিজাজি। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে হায়দরাবাদ। ৬২ মিনিটে মাকান ছোটের পাস ফাঁকায় পেয়েও অবিশ্বাস্যভাবে বাইরে মারেন সানি জোসেফ। ৮৫ মিনিটে সাইলোর সেন্টারে হেড করেছিলেন জেরোমির। বল পোস্টে লেগে ফিরে না হলে ১ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হত ইস্টবেঙ্গলকে। ১৪ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ৮ নম্বরে উঠে এল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল।
❤ Support Us