- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪
জিকসনের লালকার্ড, ওডিশা এফসি–র বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও হার ইস্টবেঙ্গলের

১২ মিনিটে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাদিহ তালাল যখন মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন অশনি সংকেতটা তখনই নেমে এসেছিল। চোট–আঘাত ও কার্ড সমস্যায় বেশ কয়েকজন ফুটবলার নেই। তার ওপর তালাল ছিটকে গেলেন। শক্তিশালী ওডিশা এফসি–র সঙ্গে পেরে উঠবে তো? ৪২ মিনিটে আরও বড় ধাক্কা। লালকার্ড দেখে মাঠের বাইরে জিকসন সিং। দ্বিতীয়ার্ধের পুরো সময়টা ১০ জনে দুর্দান্ত লড়াই। যদিও এগিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হল না। ওডিশা এফসি–র কাছে ২–১ ব্যবধানে হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। ৩ ম্যাচ পর ঝুলিতে আবার কোনও পয়েন্ট এল না লালহলুদ শিবিরের।
সীমাবদ্ধতা নিয়েও এদিন ওডিশা এফসি–র বিরুদ্ধে যেভাবে শুরু করেছিল, একটা সময় মনে হচ্ছিল আইএসএলের ইতিহাসে নিজেদের জয়ের হ্যাটট্রিক হয়তো এদিনই হয়ে যাবে। কিন্তু মাহিদ তালালের চোট পেয়ে ও জিকসন সিংয়ের লালকার্ড দেখে বেরিয়ে যাওয়াটা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের টানা ৩ ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন শেষ করে দিয়ে গেল। তালালের পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা নন্দকুমার ২৩ মিনিটে ডানদিক থেকে ঢুকে বক্সের মাথা থেকে বাঁপায়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচান ওডিশা এফসি গোলকিপার অমরিন্দার সিং। না হলে তখনই এগিয়ে যেত ইস্টবেঙ্গল।
৩৫ মিনিটের পর থেকে ম্যাচে চূড়ান্ত নাটক। ৩৬ মিনিটে আবার গোলের সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। বিষ্ণুর মাইনাস তিন কাঠিতে রাখতে পারেননি মহেশ সিং। পরের মিনিটেই এগিয়ে যেত পারত ওডিশা। বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্রশবার। রালতের সেন্টারে জেরির হেড বারে লেগে ফিরে আসে। পরের মিনিটেই রালতের শট আবার বারে লাগে। ৪২ মিনিটে লালকার্ড (দ্বিতীয় হলুদ কার্ড) দেখে মাঠের বাইরে চলে যান জিকসন সিং।
১০ জন হয়ে যাওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো ফুটবলারদের পজিশনে কিছুটা বদল নিয়ে আসেন। ক্লেইটনকে তালালের জায়গায় গুঁজে দেন। মহেশকে বাঁদিকে উইংয়ে পাঠিয়ে দেন। এই সময় ইস্টবেঙ্গলকে বেশ ঝকঝকে লাগছিল। ৫৩ মিনিটে এগিয়েও যায়। মহেশ সিংয়ের কর্নার আংশিক প্রতিহত করেন ওডিশা এফসি গোলকিপার অমরিন্দার সিং। বল গিয়ে পড়ে হিজাজি মাহেরের পায়ে। তাঁর বাঁপায়ের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে গেলে লালচুংনুঙ্গার কাছে যায়। ডানপায়ের শটে বল জালে পাঠান লালচুংনুঙ্গা। ২ মিনিটও গোল ধরে রাখতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। মহেশ সিংয়ের কাছ থেকে বল কেরে নিয়ে জেরিকে পাস দেন ইসাক। ডানপায়ের আউটস্টেপে দুরন্ত শটে সমতা ফেরান জেরি।
৫৮ মিনিটে আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। একক প্রয়াসে বল নিয়ে ঢুকে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন নন্দকুমার। বল বারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৬৯ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় ওডিশা এফসি। রালতের শট আংশিক প্রতিহত করেন প্রভসুখন গিল। ফিরতি বল পান রহিম আলি। তাঁর শট আটকে দেন লালহলুদ গোলকিপার।
৮১ মিনিটে প্রতিরোধের বাঁধ ভেঙে যায় প্রভসুখনের। বাঁদিক থেকে বল নিয়ে ঢুকে মাইনাস করেন দিয়োগো মরিসিও। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে জোরালো শটে গোল করে দলকে ওডিশাকে এগিয়ে দেন হুগো বুমোস। পরের মিনিটেই ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল মরিসিওর সামনে। তাঁর শট আটকে দেন প্রভসুখন।
৮৫ মিনিটে সমতা ফেরানোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ক্লেইটন সিলভার ফ্রিকিক গোলে ঢোকার মুখে ফিস্ট করে কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান অমরিন্দার সিং। শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই ফিরতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
❤ Support Us