Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ডিসেম্বর ১১, ২০২৩

“কালীঘাটের কাকু”-র খোঁজ নিতে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে এসএসকেএম-এ পৌঁছল ইডি

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
“কালীঘাটের কাকু”-র খোঁজ নিতে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে এসএসকেএম-এ পৌঁছল ইডি

এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ” কালীঘাটের কাকু”-র স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে দুই ইডি অফিসার পৌঁছে গেলেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই ইডির দুই আধিকারিক সটান এসএসকেএম-এ উপস্থিত হয়েছে বলে খবর। এমনিতেই এসএসকেএম হাসপাতালের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছিল আগেই। এবার ‘কালীঘাটের কাকু’র শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে খোদ দুই ইডি আধিকারিক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়ে ইডির দুই আধিকারিক সোজা কালীঘাটের কাকু যে ওয়ার্ডে ভর্তি সেখানে ঢুকে পড়েন। আধিকারিকরা কথা বলেন ওই ওয়ার্ডের নার্স এবং দরজায় মোতায়েন জওয়ানদের সঙ্গে।

বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের এক নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বা কালীঘাটের কাকু।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জানিয়েছে, গত ৭ ডিসেম্বর রাতে আচমকাই সুজয়কৃষ্ণর রক্তচাপ কমতে শুরু করে এবং পালস রেট মারাত্মক বেড়ে ১১০ হয়ে যায়। এর পরেই তড়িঘড়ি সুজয়কৃষ্ণকে কার্ডিওলজি বিভাগের ক্রিটিক্যাল কেয়ারে ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। যার ফলে পরদিনই তাঁকে আর জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। আইসিইউ অ্যাম্বুল্যান্স থাকা সত্ত্বেও কেন সুজয়কৃষ্ণকে নিয়ে যাওয়া যাবে না তা নিয়ে ইডির আধিকারিকরা প্রশ্ন তোলেন এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে, ইডি সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

 

ইডির এই জিজ্ঞাসার উত্তরে মেডিক্যাল বোর্ডের তরফে জানানো হয়, কারও হার্ট বাইপাস সার্জারির পরে এরকম অবস্থা হলে সেই রোগীকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখে তার পরে অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করার দরকার হয়। কালীঘাটের কাকুর ক্ষেত্রেও সেই পরামর্শ দেওয়া হয়। এর পরে ওই চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে ইডির আধিকারিকরা চলে যান বলে জানা গেছে। চিকিৎসকেরা উপলব্ধি করেন, মানসিক চাপ থেকেই সুজয়কৃষ্ণের এরকম হচ্ছে। তখন থেকে মেডিক্যাল বোর্ডে দুই মানসিক রোগের চিকিৎসককে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একটি অডিও রেকর্ডিং পায়। সেখানে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর রয়েছে বলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি। ওই গলার স্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখতে চাইছে ইডি, এসএসকেএম সেই কাজে বাধা দিচ্ছে বলে ইডির ধারণা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, আদালতের নির্দেশের পরেও গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে মিলছে না সবুজ সংকেত। তবে ইডি এবার কালীঘাটের কাকুর কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে মরিয়া, তাই দুই আধিকারিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই পৌঁছলেন কালীঘাটের কাকুর কাছে। আদালতের নির্দেশে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শেষ করতে হবে। ইডি পারবে তো শেষ পর্যন্ত কালীঘাটের কাকুর কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে? সেটাই বড় প্রশ্ন!


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!