Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • জানুয়ারি ২৪, ২০২৪

রণসাজে সন্দেশখালিতে ইডি, সঙ্গে রাজ্য পুলিশের বিরাট বাহিনী। শেখ শাজাহানের বাড়িতে তল্লাশি শুরু

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
রণসাজে সন্দেশখালিতে ইডি, সঙ্গে রাজ্য পুলিশের বিরাট বাহিনী। শেখ শাজাহানের বাড়িতে তল্লাশি শুরু

যুদ্ধসাজে সজ্জিত হয়ে সন্দেশখালির পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাজাহানের বাড়িতে তল্লাশি ইডির। শেখ শাজাহানের হদিশ নেই গত ১৯ দিন। তাঁকে খুঁজতেই বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে পলাতক তৃণমূল নেতার বাড়িতে এসেছেন ইডি অফিসাররা। তবে তাঁর বাড়িতে তালা ভেঙে ইডি ঢুকলেও হদিশ পাননি শেখ শাজাহানের। চলছে তল্লাশি। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে তল্লাশির আড়াই ঘণ্টা পরে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য নথি পাওয়া যায়নি।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির এই তৃণমূল নেতার বাড়িতে এসেছিল ইডি, সেদিন ইডির প্রস্তুতি তেমন জোরদার ছিল না। তবে ১৯দিন পর ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রীতিমতো প্রস্তুত হয়ে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাজাহানের বাড়িতে বুধবার সকালে পৌঁছলেন ইডি অফিসাররা। গত ৫ জানুয়ারি ইডি অফিসাররা এসেছিলেন শেখ শাজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে। অভিযোগ, তখন শাজাহান অনুগামীরা তাঁদের উপর আক্রমণ চালায়। তবে ২৪ জানুয়ারির ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা।

সকাল ৭টা নাগাদ ১২৫ সিআরপিএফ জওয়ান নিয়ে ১১ জন ইডি অফিসার, ২জন ইডির সাক্ষী এসে হাজির হয় রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের পলাতক নেতা শেখ শাজাহানের বাড়িতে। ইডি আসার খবর পেয়েই রাজ্য পুলিশের ফোর্স ঘটনাস্থলে চলে আসে। পুলিশ ইডি অফিসারদের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখতে চায়। ইডি ও সেনা জওয়ারদের পাশাপাশি ৩৫ জন রাজ্য পুলিশের অফিসার, মহিলা পুলিশ ফোর্স রয়েছেন ঘটনাস্থলে। তালাচাবি তৈরির লোক সঙ্গে এনে তাঁদের দিয়ে শেখ শাজাহানের বাড়ির তালা ভেঙে ইডি অফিসাররা ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ শেখ শাজাহানের বাড়িতে প্রবেশ করেন, শুরু হয় তল্লাশি। বাড়িতে ঢুকেছেন  ৮জন ইডি অফিসার, ২ জন ইডির সাক্ষী, ২ জন স্থানীয় সাক্ষী, ভিডিওগ্রাফার, প্রিন্টার নিয়েও রয়েছেন ইডি কর্মী। বাড়ির বাইরে রাজ্য পুলিশের বাহিনী, মহিলা পুলিশ, পুলিশের ভিডিওগ্রাফার রয়েছেন।

ইডি অফিসাররা এদিন ২৫টি ইডির গাড়ি নিয়ে এসেছেন, গাড়িগুলো বাইরে দাঁড়িয়ে, এই গাড়ি পাহারা দিচ্ছে রাজ্য পুলিশ। সকাল ৭টায় শেখ শাজাহানের বাড়িতে ইডি অফিসাররা এলেও পুলিশের সঙ্গে কথা বলার শুরু হয়, তারপর ৪৫ মিনিট সময় পরে ইডি অফিসাররা শেখ শাজাহানের বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে। প্রথমে বাড়ির একতলা,পরে দোতলায় সার্চ শুরু করে ইডি অফিসাররা। এদিকে ইডি অফিসারদের ব্যাগ সার্চ করে শেখ শাজাহানের বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়, এটা করার কারণ যাতে ইডি ব্যাগে করে কিছু নিয়ে এসেছে কি না সেটা নিশ্চিত করা যায়। ঘটনাস্থলে রয়েছেন ন্যাজাট থানার ওসি, রাজ্য পুলিশের আরএএফ। তবে গত ৫ জানুয়ারি ইডি অফিসাররা শেখ শাজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ ছিল। সেদিন আক্রান্ত হয়েছিলেন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও। তবে ২৪ জানুয়ারির ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা। সন্দেশখালি রোডের উপর আকুঞ্জিপুরে শেখ শাজাহানের বাড়ি সংলগ্ন সব রাস্তায় এদিন কড়া সেনা প্রহরা। কাউকে ধারেকাছে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতেই ন্যাজাট থানায় ইডি মেল করে জানিয়ে দেয় বুধবার সকালে তারা শেখ শাজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে আসছেন। সেই মেল পেয়ে রাজ্য পুলিশ প্রস্তুত হয়ে যায়।

ন্যাজাট থানার ওসি শুভাশিস ভৌমিক বলেন, “১৩ জন ইডি আধিকারির শেখ শাজাহানের বাড়ির ভেতর ঢুকেছে। আমাদের দুজন সাক্ষী, ইডির ৮ জন অফিসার, ২ জন ইডির সাক্ষী, একজন ইডির ভিডিওগ্রাফার শেখ শাজাহানের বাড়ির ভেতর ঢুকেছে। আমাদের ভিডিওগ্রাফারকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সার্চ ওয়ারেন্ট দেখিয়ে ইডি বাড়ির ভেতর ঢুকেছে।”
তবে প্রশ্ন একটাই, ১৯ দিন পর কি কোনও তথ্য, নথি ইডি অফিসাররা পাবেন যা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে?


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!