Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • নভেম্বর ৭, ২০২৩

রেশন দুর্নীতিতে ইডি-র ম্যারাথন তল্লাশি, উদ্ধার বেশ কয়েক কোটি নগদ টাকা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
রেশন দুর্নীতিতে ইডি-র ম্যারাথন তল্লাশি, উদ্ধার বেশ কয়েক কোটি নগদ টাকা

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের মতোই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার বহু কোটি টাকা। রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় প্রথমে গ্রেফতার করা হয় বাকিবুর রহমানকে। তারপর ইডির হেফাজতে যান রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই মামলায় ইডি-র দাবি, নগদে কোটি কোটি টাকা বেআইনি লেনদেন হয়েছে। যার সন্ধানে লাগাতার তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রে খবর, তল্লাশির সময় অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের দফতর থেকে ১ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় অভিযান চালিয়ে মিলেছে আরও নগদ চল্লিশ লক্ষ টাকা। এছাড়াও মেসার্স এজে অ্য়াগ্রোটেক এবং মেসার্স এজে রয়্যাল প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুটি পার্টনারশিপ কোম্পানির অ্যাকাউন্টে থাকা থাকা ১৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকাও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

শনিবার ভোর থেকে রেশন দুর্নীতির তদন্তে টানা তল্লাশি অভিযানে নামেন ইডির গোয়েন্দারা। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ায় একাধিক চালকল, আটা কল, রেশন ব্যবসায়ী এবং উলুবেড়িয়ার একটি চাল কলে চলানো হয় তল্লাশি। সেসব জায়গা থেকে নগদ টাকার পাশাপাশি প্রচুর নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি আধিকারিকরা।

ইডি সূত্রে জানা গেছে, রেশন দুর্নীতির কাণ্ডে জড়িত রয়েছে একাধিক মধ্যস্তকারী ও ব্যবসায়ী। এই সূত্রেই নাম উঠছে অঙ্কিত চান্দক ও দীপেশ চান্দক নামে দুই ব্যবসায়ীর। এর মধ্যে দীপেশ চান্দককে ২০০৪ সালে বিহারে পশুখাদ্য মামলায় গ্রেফতারও করা হয়েছিল। তদন্তে চান্দক পরিবার পরিচালিত অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডেও হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই অফিস থেকেই উদ্ধার হয় ১ কোটি নগদ। রেশন দুর্নীতিতে অপরাধমূলক পথই এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস বলে মনে করছে ইডি।

রেশন দুর্নীতি মামলায় আদালতের ইডি জানিয়েছে যে, রেশনে আটার বস্তা থেকে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সরানো হত। অথচ সেই কম ওজনের বস্তার জন্যই রেশন ডিলাররা পুরো দাম দিয়ে দিতেন। আবার সেই টাকা সরকারের থেকে আদায় করা হত। এই করে বেশ কিছু হাত ঘুরে এক প্রকার একটা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল।

এদিকে ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সল্টলেকের একটি বাড়িতে জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরের বৈঠক হত। ইডির তথ্য অনুযায়ী, বৈঠক হওয়া বাড়িটা একজন প্রোমোটারের। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কনভয় সেখানে আসত। ওখানে বাকিবুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক চলত। খাদ্য ভবন থেকে বেরিয়ে কনভয় করে ওই বাড়িতেই আসতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গোটা বাড়িতেই ছিল সিসিটিভি। ইডি আরও দাবি করেছে, ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ১২ হাজারেরও বেশি ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর, রেশন দোকানের মালিকের নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছিল। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই এক দশকে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ইডির। আর তদন্তকারীরা বলছেন, এই গোটা নেটওয়ার্কের মাস্টারমাইন্ড নাকি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজেই। ইডির বক্তব্য, যে পরিমাণের দুর্নীতি হয়েছে, তা খাদ্য দফতরের মদত ছাড়া করা অসম্ভব।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!