- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১১, ২০২৪
দুয়ারে ভোট। বয়স্ক ও বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনের

গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হলেন প্রবীণ ও বিশেষ সক্ষম নাগরিকরা। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থায় বাড়িতে বসেই ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ মেলায় খুশী প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীরা। পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের ভোট চতুর্থ দফায়, ১৩ মে। তার আগেই প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী নাগরিকদের ভোটদান পর্ব শুরু হয়েছে কাটোয়া বিধানসভা এলাকায়।
শারীরিকভাবে অক্ষম ও অশীতিপর প্রবীণ, যাঁদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা নেই, তাঁরা যাতে বাড়িতে বসেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই বন্দোবস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই ব্যবস্থার শরিক হয়ে কাটোয়া শহরের প্রবীণ ও বিশেষ সক্ষম নাগরিকরা ভোট দিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচন থেকেই আশির বেশি বয়স্ক ভোটার ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের কষ্ট লাঘবে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। বাড়ি গিয়ে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, এবার কাটোয়া বিধানসভা এলাকায় ৩২৭ জন ভোটার বাড়িতে বসে ভোট দেবেন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর। বাড়িতে বসে এই ভোটদানের পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে ‘হোম ভোটিং।’ দেখা গেল, কাটোয়া শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রবীণ ও বিশেষ সক্ষমদের বাড়িতে প্রয়োজনীয় নথি ও ব্যালট পেপার নিয়ে নির্বাচন কর্মীরা পৌঁছে যাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় থাকছে নিরাপত্তা বাহিনীও।
নির্বাচন কমিশনের এই বিশেষ সুবিধা পেয়ে খুশি কাটোয়ার নবতিপর মহিলা আরতি হাজরা। তিনি বলছিলেন, ‘বয়স হয়েছে। হাঁটা-চলা করতে পারি না। শরীরের যা অবস্থা তাতে বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারতাম না।’ আরও বললেন, ‘ভেবেছিলাম এবার হয়ত আর ভোটটা দিতে পারব না। ভোট দিলাম। যারা আমাদের মত বয়স্কদের বাড়িতে বসে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিলেন, তাদেরকে কী বলে যে কৃতজ্ঞতা জানাব, ভেবে পাচ্ছি না।’ প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের পরিবারের সদস্যরাও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তাঁদেরকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। নির্বাচন কর্মী সুমিতা ঘোষ জানান, ‘ভোট নির্বিঘ্নেই চলছে। তিনদিন ধরে চলবে।’
❤ Support Us