- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ২৫, ২০২৪
পাঁচ দফার ভোটার পরিসংখ্যা প্রকাশ, মামলা খারিজের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তথ্য সামনে আনল কমিশন

চিত্র ইন্টারনেট
লোকসভা ভোটের ষষ্ঠ দফা চলাকালীন নির্বাচন কমিশন তাদের প্রথম পাঁচটি দফার ভোটদান পরিসংখ্যান প্রকাশ করল । তারা জানিয়েছে যে ভোটদান সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রার্থী এবং ভোটদাতার জন্য সব সময় সুলভ হবে।
কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল , তারা ভোট গ্রহণের পর তথ্য বিকৃতি ঘটাচ্ছে অথবা সঠিক তথ্য জনতার সামনে তুলে ধরছেনা। এই নিয়ে বিরোধীদের একাধিক কটাক্ষ উড়ে এসেছে তাদের দিকে। সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলেছে। কমিশন জানিয়েছে নির্বাচনের দিনেই সকাল ৯টা বেজে ৩০ মিনিট থেকে ‘ভোটার টার্ন আউট’ অ্যাপের মাধ্যমে সমস্ত তথ্য পৌঁছে যাবে প্রার্থী এবং ভোটদাতা উভয়ের কাছেই।
ভোট পরিসংখ্যান প্রকাশ নিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল একটি বেসরকারি সংস্থা । গতকাল সেই মামলা পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। তারা জানিয়ে দেন, ভোট চলাকালীন এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করবেনা তারা। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্টে এখন গ্রীষ্মের ছুটি চলছে। এ অবস্থায় কোর্ট কোনও রায় দান করবেনা । যদিও পূর্ববর্তি আদেশে কোর্ট কমিশনকে ভোট পরিসংখ্যা প্রকাশের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা দিয়েছিল।
কমিশন নিজের স্বপক্ষে বলেছেন , সমস্ত প্রার্থীর অনুমোদিত এজেন্টদের কাছে ফর্ম ১৭ সি রয়েছে, যা ৫৪৩টি সংসদীয় নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ১০.৫লক্ষ ভোট কেন্দ্রের প্রতিটিতে মোট ভোটের সংখ্যা রেকর্ড করে। ১৭ সি তে রেকর্ড থাকা মোট ভোটারেরর সংখ্যা পরিবর্তন করা সম্ভবপর নয়। কারণ সেগুলি সমস্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রার্থীদের জন্য উপলব্ধ।
নির্বাচনী আচরণবিধি ১৯৬১-এর নিয়ম ৪৯ভি(২) ধারা অনুসারে প্রার্থীদের এজেন্টদের সর্বদা ইভিএম এবং বৈধ কাগজপত্র সহ ভোট কেন্দ্র থেকে স্ট্রংরুমে স্টোরেজ পর্যন্ত যাতায়াতের অনুমতি পত্র হল ওই ফর্ম ১৭ সি । প্রার্থী বা তার এজেন্টরা প্রার্থী বা তার এজেন্টরা ওই ফর্মের অনুলিপি গণনা কেন্দ্রে নিয়ে আসে এবং প্রতিটি রাউন্ডের ফলাফলের সাথে মিলিয়ে দেখে। তাই এই বিপুল ব্যবস্থার কারচুপি করা এত কম সময়ের মধ্যে খুব একটা সহজ বিষয় নয় , জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
❤ Support Us