Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • নভেম্বর ৮, ২০২৫

এনিউমারেশন ফর্ম বিলিতে অনিয়মে কড়া বার্তা নির্বাচন কমিশনের: নিয়ম ভাঙলে বিএলও–দের শাস্তি অনিবার্য

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
এনিউমারেশন ফর্ম বিলিতে অনিয়মে কড়া বার্তা নির্বাচন কমিশনের: নিয়ম ভাঙলে বিএলও–দের শাস্তি অনিবার্য

ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়ায় একের পর এক অনিয়মের অভিযোগে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বুথ লেভেল অফিসাররা (বিএলও) নিয়ম ভেঙে নানা জায়গায় এনিউমারেশন ফর্ম বিলি করছেন— কোথাও শাসকদলের কার্যালয়ে, কোথাও বা মুদিখানার দোকানে বসে ফর্ম বিলি চলছে। এমনকি অভিযোগ উঠেছে, শাসকদলের বুথ লেভেল এজেন্টরা (বিএলএ–২) নিজেরাই বিএলও–দের কাছ থেকে ফর্ম নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন।
গত মঙ্গলবার থেকে বাড়ি বাড়ি ফর্ম বিতরণ শুরু হলেও, বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়মভঙ্গের একাধিক ছবি প্রকাশ্যে আসায় কড়া মনোভাব নিয়েছে কমিশন। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়াল স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন — “কমিশনের নিয়ম মেনে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনিউমারেশন ফর্ম দিতে হবে বিএলও–দের। তাঁদের সঙ্গে নথিভুক্ত রাজনৈতিক দলের বিএলএ–২রা থাকতে পারেন, তবে এই নিয়ম অমান্য করা চলবে না।”
তিনি আরও সতর্ক করে বলেছেন, “অভিযোগগুলিকে কমিশন ভালো চোখে দেখছে না। প্রতিটি ঘটনায় নজর রাখা হচ্ছে। কেউ নিয়ম ভাঙলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা স্পষ্ট করেননি সিইও। তবে কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অতীতে বিহারে একই ধরনের অভিযোগে একাধিক বিএলওকে সাসপেনশন, এমনকি জেলও খাটতে হয়েছে।
সিইও দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি ৪ লক্ষ ভোটারের কাছে এনিউমারেশন ফর্ম পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ— সর্বত্র অনিয়মের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
উদাহরণ হিসেবে:

মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর–১ ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচলা এলাকায়, এক মুদিখানার দোকানে বসে ফর্ম বিলি করতে দেখা গেছে বিএলও মোস্তাক হোসেনকে।

পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে, স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ নিজে ফর্ম বিলি করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।

বুদবুদের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতে, বিএলও বর্ণালী পাঁজা স্থানীয় তৃণমূল উপপ্রধান ও কর্মীদের সঙ্গে ফর্ম বিলি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আবার একইভাবে দুর্গাপুরের মহানন্দাপল্লি এলাকায় সিপিএম কর্মীদের হাতেও দেখা গিয়েছে ফর্ম বিলির দায়িত্ব।

উত্তরবঙ্গেও একই চিত্র ধরা প্রেস হে বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ির হাতিয়াডাঙা এলাকায় স্বামীর দোকানে বসে ফর্ম বিলি করতে দেখা যায় বিএলও সান্ত্বনা রায়কে। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, “বড় এলাকা, ভোটারদের সুবিধার জন্যই দোকানে বসেছিলাম।” ধূপগুড়ি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিএলও রুবি বসুনিয়ার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির বিএলএ–২কে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় খড়দহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, “ওই বিজেপি কর্মী ভোটারদের ছবি তুলছিলেন, তাই স্থানীয়রাই বাধা দিয়েছেন।”
এই একের পর এক ঘটনার পর কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে — নিয়ম না মানলে ছাড় নেই। বিএলও–দের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, না হলে আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত।


  • Tags:
❤ Support Us
সপ্তপদী গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
গ্রামের নাম ভিচিংছা পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
হিরণবালা । পর্ব ৩২ ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!