- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- মার্চ ২৮, ২০২৪
বেকারত্ব নিয়ে নাগেশ্বরণের মন্তব্যে বিপাকে মোদি সরকার।আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার পরিসংখ্যানকে নস্যাৎ অনুরাগের
ভারতে যুবকদের মধ্যে কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি গুরুতর। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার দেওয়া পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এমন তথই উঠে এসেছে। এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
ভারতের ক্রীড়া ও যুব কল্যান বিষয়কমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার পরিসংখ্যানকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ভারতীয় সংস্থাগুলির তথ্য ভিন্ন ছবি তুলে ধরেছে। এদিকে, কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরণ জানিয়েছেন, বেকারত্বের মতো সমস্যার সমাধান সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, ভারতের বেকারদের মধ্যে ৮৩ শতাংশ যুবক। ২০২২ সালে সমস্ত বেকারদের মধ্যে শিক্ষিত যুবকের সংখ্যা ৫৪.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৫.৭ হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দেয় যে ভারতে বেকারত্বের সমস্যা সবথেকে বেশি যুবকদের মধ্যে, বিশেষ করে শহুরে এলাকার শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে ক্রমশ ঘনীভূত হয়েছে।’ বর্তমানে দেশের বেকারদের মধ্যে ৭৬.৭ শতাংশ শিক্ষিত যুবক এবং ৬২.২ শতাংশ শিক্ষিত যুবতী
ভারতের ক্রীড়া ও যুব কল্যান বিষয়কমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর যুব কনক্লেভে বলেছেন, ‘ ভারতীয় সংস্থাগুলির তথ্য ভিন্ন কথা বলছে। ৬৪ মিলিয়ন মানুষ এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনে (ইপিএফও) নথিভূক্ত হয়েছে। যা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং অন্যান্য অনেক দেশের জনসংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে ৩৪ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোও চাকরির সুযোগ তৈরি করছে। এখন তারা চাকরিপ্রার্থী থেকে চাকরিদাতাতে পরিণত হয়েছে।’
ভারতীয় শ্রম সংস্থার রিপোর্টের বিশদ বিবরণ দিয়ে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘আমাদের এখনও দাসত্ব মানসিকতা আছে। কারণ আমরা সবসময় বিদেশী রেটিংয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। সেখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে এবং দেশের সংস্থাগুলিকে বিশ্বাস করতে হবে। এখন মানুষ একটা স্টার্ট–আপ চালু করার সময় দ্বিধা করে না। আমি এমন অনেক লোকের সাথে দেখা করেছি যারা নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে দেশের বাইরে চাকরি নিয়েছেন। এখন দেশে ফিরে এসে একটা স্টার্ট-আপ চালাচ্ছেন।’
এরই মধ্যে মোদি সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরণ জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষে বেকারত্ব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘সরকার সব রকমের সামাজিক ও আর্থিক চ্যালেঞ্জের সমাধান করতে পারবে না। বেকারত্বের রোগ নির্ণয় করা সহজ হলেও তার সমাধান করা কঠিন কাজ।’
❤ Support Us