- দে । শ
- জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
দলিত ভোটের কথা মাথায় রেখেই কার্পুরী ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন পুরস্কার দিচ্ছে সরকার
মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া হচ্ছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত কার্পুরী ঠাকুরকে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে তাঁকে মরণোত্তর ভারতরত্ন পুরস্কার প্রদান করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবারই ১০০ বছর পূর্তি হচ্ছে কার্পুরী ঠাকুরের। তার আগেই সম্মানিত করা হল তাঁকে। মূলত দলিত ভোটের কথা মাথায় রেখেই সরকার তাঁকে এই সম্মান দিচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সরকার এই ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত যে, প্রয়াত কার্পুরী ঠাকুরকে মর্যাদাপূর্ণ সম্মান প্রদান করা হচ্ছে। তিনি ভারতীয় রাজনীতিতে সামাজিক ন্যায়বিচারের একজন অকুতোভয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।”
১৯২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি জন্মগ্রহন করেছিলেন কার্পুরী ঠাকুর। ১৯৮৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। ১৯৭০ সালে বিহারের ১১তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন কার্পুরী ঠাকুর। দুটি মেয়াদে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। প্রথমে ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের জুন মাসে পর্যন্ত। ১৯৭৭ সালের জুন মাস থেকে ১৯৭৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত।
‘জন নায়ক’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন কার্পুরী ঠাকুর। তাঁর ব্যক্তিগত আচরণ ছিল সরলতায় ভরা। সামাজিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। উত্তর ভারতে দলিত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। বিহারের রাজনৈতিক ভূখণ্ডে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন।। ভারতীয় রাজনীতিতেও তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
নাপিত সম্প্রদায়ের গোকুল ঠাকুর এবং রামদুলারী দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন কর্পুরী ঠাকুর। এক সময় কংগ্রেস সমাজতান্ত্রিক দল করতেন। পরে জনতা দলে যোগ দেন। জনতা দল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ছিলেন।
❤ Support Us