- এই মুহূর্তে দে । শ
- এপ্রিল ৭, ২০২৩
কারাবন্দী সিসোদিয়ার তোপ ! দেশ চালাতে শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজন। সমর্থনে টুইট কেজরির

কারারুদ্ধ অবস্থায় দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চিঠি লিখলেন মণীশ সিসোদিয়া। আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজের টুইটে সে পত্রের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, প্রশাসনিক প্রধান স্বল্প শিক্ষিত হলে তা দেশের জন্য বিপজ্জনক। গত কয়েক বছরে দেশে ৬০,০০০ বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা বা বিজ্ঞানের অগ্রগতি নিয়ে কোনো বক্তব্য নেই। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর তরুণ প্রজন্মের উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করবার ক্ষমতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।
মণীশ সিসোদিয়া নিজের চিঠিতে লিখেছেন, দিনের পর দিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি ঘটছে। সমগ্র দুনিয়া এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কথাবার্তা বলে চলেছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের শীর্ষ প্রশাসনিক প্রধানের কাছ থেকে নোংরা নর্দমায় নল বসিয়ে তা থেকে বিষাক্ত গ্যাস বার করে চা বা খাবার রান্না করার কথা শোনা অত্যন্ত মর্মবিদারক। প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন, রাডার কখনও মেঘের আড়ালে থাকা বিমানকে চিহ্নিত করতে পারে না , তখন তিনি সমগ্র বিশ্বের কাছে হাস্যাস্পদে পরিণত হন। স স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও তাকে নিয়ে রঙ্গ-তামাশা করতে ছাড়ে না। তাই নিজের চিঠিতে দেশকে সঠিক দিশায় এগিয়ে নিয়ে চলার জন্য বর্তমানে এক শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি তুলে ধরেছেন।
मनीष सिसोदिया ने जेल से देश के नाम चिट्ठी लिखी –
प्रधानमंत्री का कम पढ़ा-लिखा होना देश के लिए बेहद ख़तरनाकमोदी जी विज्ञान की बातें नहीं समझते
मोदी जी शिक्षा का महत्व नहीं समझते
पिछले कुछ वर्षों में 60,000 स्कूल बंद किए
भारत की तरक़्क़ी के लिए पढ़ा-लिखा पीएम होना ज़रूरी pic.twitter.com/VpPyY1Jr2v
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) April 7, 2023
স্বাধীন ভারত বহু প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে যারা উচ্চ শিক্ষিত। ভারতের অগ্রগতিতে তাঁদের নীতি ও অন্তর্দৃষ্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দাঙ্গা ও দেশভাগের ভয়াবহ স্মৃতিকে সঙ্গে নিয়ে দেশ যখন ঔপনিবেশিক শাসনের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হল , তখন ভারতের প্রইয়োজন ছিল দক্ষ ও প্রবল অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের। নেহেরু সে প্রইয়োজন মিটিয়েছিলেন। দেশের অগ্রগতিতে শিক্ষা ও গবেষণা শিল্পায়নের গুরুত্বের কথা চিন্তা করে একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় জোর দিয়েছিলেন। গুরুত্ব দিয়েছিলেন শিক্ষা ও গবেষণাকে। তাই গড়ে উঠেছিল আইআইটির মতো প্রতিষ্ঠান। বিদেশনীতিতেও রেখেছিলেন স্বাতন্ত্র্যের ছাপ। কন্যা ইন্দিরা ও দৌহিত্র রাজীবও সে কথা বিস্মৃত হননি। তাই দেশ গড়ে তোলার কাজে পূর্বসূরীর দেখানো পথকে ভিত্তি করে তাঁরা এগিয়েছিলেন। পূর্বতন প্রধানমন্ত্রীরা বুঝেছিলেন ধর্মনিরপেক্ষতার গুরুত্বের কথা। তাই ধর্ম কখনও শাসন নীতির মূল নির্ধারক হয়ে উঠতে পারেনি। এমনকি বাজপেয়ী আমলেও না। কিন্তু ২০১৪ পরবর্তী সময় থেকে বিজ্ঞান ওপ্রযুক্তিতে উচ্চ মানের গবেষণা সরকারি ব্যয় বরাদ্দ কমানো হচ্ছে, বরং বাড়ছে অবৈজ্ঞানিক চিন্তাকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রবণতা । গোমূত্রয় ক্যানসার নিরাময়, গণেশের মাথায় হাতির মুখ বসানো প্লাস্টিক সার্জারির দৃষ্টান্ত, মহাকাব্যের পুস্পক রথকে বিমানের সঙ্গে তুলনা করার মতো মন্তব্য দেশের শীর্ষ প্রশাসনিক স্তর থেকে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর উদ্বেগ অসংগত নয়।
❤ Support Us