- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- ডিসেম্বর ১, ২০২৩
বুথ ফেরত সমীক্ষায় ছত্তিশগড়ে এগিয়ে হাত।অনিশ্চিত বাকি চার। তেলেঙ্গানা, রাজস্থানে ঘোড়া কেনাবেচার ইঙ্গিত
অর্থনীতিতে উপযোগিতা তৃপ্তির ভিত্তিতে ভোক্তারা তাদের পছন্দের সামগ্রী বেছে নেয়। তবে ভোটেও আজকাল সমীক্ষা হচ্ছে। স্যাম্পেল সার্ভে করে ভোটের ফলাফল মেলাবার কাজ এখন চলছে বিশ্বজুড়ে। তবে কোনও ভোক্তা তৃপ্তির জন্য সব সময় নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের প্রসাধনী কিনলেই যে কোনও ভোটার একবার কোনও রাজনৈতিক দল পরিচালিত দলের কাছ থেকে সুবিধা দেবেই তার কোনও মানে নেই। আর স্যাম্পেল সার্ভে করে ভোটের ফল মেলানো যে খুব একটা সহজ কাজ নয় সেটা সবার জানা। তাও পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পর বুথ ফেরত সমীক্ষা হয়েছে। তার নির্যাস আলোচনার আগে বলে রাখা ভালো সব সময় বুথ ফেরত সমীক্ষা অবিকল মিলে যায় না।
এবার সদ্য পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পর বুথ ফেরত সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে যে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে, তার চারটির ফলাফলই অনিশ্চিত। একমাত্র ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস অনায়াসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গোড়ার জায়গায় রয়েছে। আর বাকি রাজ্যগুলির ফলাফলের একেক রকম ইঙ্গিত মিলছে একেকটি সমীক্ষায়। রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ তিন রাজ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বলছে বুথ ফেরত সমীক্ষা। ভোটের ফলাফল একাধিক রাজ্যে ত্রিশঙ্কু হওয়ারও সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর এই আবহেই কংগ্রেস তেলেঙ্গানা, রাজস্থানের জয়ী প্রার্থীদের অন্যত্র লুকিয়ে রাখতে পারে বলে জল্পনা উঠেছে তুঙ্গে।
কংগ্রেস সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভোটের ফল প্রকাশ ৩ ডিসেম্বর। এই ফলাফল ঘোষণার পরই তেলেঙ্গানার কংগ্রেস বিধায়কদের সরিয়ে ফেলা হবে পাশের রাজ্য কর্ণাটকে। এমনিতে অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, তেলেঙ্গানায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে পারে কংগ্রেস। ১১৯ আসনের তেলেঙ্গানা বিধানসভায় কংগ্রেসের ষাটের বেশি আসন পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে অধিকাংশ জাতীয় সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষা। তবে কোনও কোনও সমীক্ষায় ইঙ্গিত তেলেঙ্গানার বিধানসভা ত্রিশঙ্কুও হতে পারে। সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল এআইএমআইএম। কংগ্রেস মনে করছে কেসিআর ঘোড়া কেনাবেচায় নামতে পারেন সরকার হাতে রাখার জন্য। তাই কংগ্রেস আগেভাগে বিধায়কদের সরিয়ে ফেলতে চাইছে কর্ণাটকে।
রাজস্থানেও একই পরিস্থিতি হতে পারে। সেখানে অবশ্য অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপিকেই এগিয়ে রেখেছে। ২০০ আসনের বিধানসভায় লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হবে বলে সমীক্ষায় বলা হয়েছে। কংগ্রেস মনে করছে শেষ পর্যন্ত বিধানসভা ত্রিশঙ্কুও হতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্দল এবং বিএসপি, আরএলপির মতো দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে দাঁড়াবে। দরকারে রাজস্থানে দলের বিধায়কদেরও কোনও হোটেলে নিয়ে যেতে পারে কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে রাজস্থানের বিধায়কদের রাজ্যের বাইরে না নিয়ে উদয়পুরেরই কোনও রিসোর্টে রাখা হতে পারে বলে কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে।
কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনও পরিকল্পনা করেনি। অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে ছত্তিশগড়ে অনায়াসে ক্ষমতায় ফিরবে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশে একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল বলছে, সে রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপিই। সম্ভবত সেকারণেই মধ্যপ্রদেশ নিয়ে কোনও বিশেষ পরিকল্পনা করেনি কংগ্রেস শিবিরের।
❤ Support Us