- দে । শ স | হ | জ | পা | ঠ
- ডিসেম্বর ৮, ২০২২
বেলাগাম সবুজ নিধনে তাপ আর বজ্রের যৌথ ফলায় প্রকৃতির প্রতিশোধ।শতর্কবার্তা ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের রিপোর্টে
আবহাওয়ার অস্বাভাবিক পরিবর্তনে আশংকিত পরিবেশবিদরা

তাপপ্রবাহ এবং বজ্রপাত, প্রকৃতির দ্বিমুখী রোষে দেশ জুড়ে বাড়ছে প্রাণহানি।এই নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে পরিবেশবিদদের, চিন্তায় আবদবিদরাও।দূষণ আর সবুজ ধ্বংসের ফলেই এই বিপত্তি বাড়ছে মনে করছেন তাঁরা।
বুধবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে গত তিন বছরের তুলনায় এবছর বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ। ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের তরফে, গতকাল সংসদে এক রিপোর্টে জানান হয়েছে, ২০২২ এ দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের মা্ত্রা প্রায় আটগুণ বেড়েছে।দেশে এখনো পর্যন্ত ২৭ টি লু বা উষ্ণ ঝড় হয়েছে।একইভাবে গত বছরের তুলনায় বজ্রপাতের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ১১১ গুন।এবছরের মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৯০৭ জন। ঝড় ও অতি বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে পাচ গুণ।
ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সেই সরকারি নথি অনুযায়ী, ভারতে দূর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ৭৮ শতাংশ হয় বন্যায় , বজ্র বিদ্যুত সহ ভারী বৃষ্টিপাতে। জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত অতি বৃষ্টির শিকার হয়েছে ২১৮৩ জন।তার আগে ২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত তাপপ্রবাহ এবং বজ্রপাতে প্রাণ গেছিল ৯৯৮ জনের।
১৪০ কোটির দেশ ভারতে, গত শতাব্দীর সূচনায় উষ্ণতম মার্চ দেখা গিয়েছিল। এপ্রিল মে দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের পরিমাণ বেশি থাকে। অগস্ট সাধারণত বর্ষার মরসুম, কিন্তু আবহ দফতরের তথ্য অনুযায়ী এবছর সে সময়ও দেশের বেশীরভাগ অঞ্চলে তাপপ্রবাহ চলতে থাকে। পরিবেশবিদদের আশঙ্কা জলবায়ু পরিবর্তনের এই ধারা বজায় থাকলে, আগামী দিনে দেশে উষ্ণ ঝড় এবং তাপপ্রবাহের পরিমান বাড়বে।
সম্প্রতি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে তাপপ্রবাহে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬৬০০০ জন। ২০৩০- ২০৫০ সাল, এই দু-দশকে ২৫০০০০ মানুষ মারা যাবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি অপুষ্টি ,অনাহার, ম্যালেরিয়া, ডায়েরিয়া আর অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে। যা ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে নিঃসন্দেহে এক অশনি সংকেত।
❤ Support Us