- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ৮, ২০২৩
নথি জাল ! ফিরতে হবে দেশে। কানাডা সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৭০০ ভারতীয় পড়ুয়ার অবস্থান বিক্ষোভ

প্রবাসে বিপদের মুখে ৭০০ ভারতীয় পড়ুয়া। কানাডা সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাল নথিপত্র পেশ করার অভিযোগে তাঁদের নিজেদের দেশে পাঠিয়ে দেবে। প্রশাসনের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ২৯ মে থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ব্রাম্পটন শহরের কানাডা সীমান্ত পরিষেবা সংস্থার বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই পাঞ্জাবের। তাই সে রাজ্যের মন্ত্রী কুলদীপ সিং ধালিওয়াল কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে বিপন্ন ছাত্র ছাত্রীদের দ্রুত সমস্যা সমাধান হয়। এব্যাপারে বিদেশ মন্ত্রী ইতিমধ্যেই উদ্যগী হয়েছেন। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, কানাডার ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলচনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাঁর আশা, শীঘ্রই এসমস্যার সমাধান হবে।
পুরো বিষয়টি সামনে আসতে আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। তাঁরা ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে কানাডায় এসেছিলেন। পড়াশোনার সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে এখানে আছেন। মার্চ মাসে কানাডায় স্থায়ী ভাবে থাকার জন্য সেদেশের সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ৭০০ প্রবাসী ভারতীয় শিক্ষার্থী। সেসময় তাঁদের জমা দেওয়া নথিপত্র পরীক্ষা করলে দেখা যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য যে অর্পণ পত্রটি তাঁরা এনেছিলেন তা সম্পূর্ণ ভাবে ভুয়ো। নিয়ম অনুযায়ী কানাডায় আর তাঁদের থাকা সম্ভব নয়। তাই এ নিয়ে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হলে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষোভ চরমে ওঠে। তাঁদের অভিযোগ, জলন্ধরের একটি ট্রাভেল এজেন্সি প্রত্যেকের কাছে থেকে ১৯,৩০০ ডলারের বিনিময়ে সমস্ত নথিপত্র তৈরি করেছে। তাহলে তাঁদেরকে হেনস্থা করা হচ্ছে কেন?
ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের ধর্নাকে সমর্থন জানিয়েছেন কানাডার অনেক মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতারা। ইতিমধ্যেই ব্রাম্পটন শহরের মেয়র পয়াট্রিক ব্রাউন পড়ুয়াদের আন্দোলনে উপস্থিত থেকে তাঁদের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সতর্ক করে বলেছেন, কোনো প্রতারকের পাল্লায় যেন না পড়েন। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করও জানিয়েছেন কানাডার প্রশাসনের ওপর তাঁদের সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে। তাঁদের পদ্ধতির মধ্যে কোনো গলদ নেই বলেই তিনি মনে করেন। প্রকৃত ঘটনা আসলে কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
❤ Support Us