Advertisement
  • দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

জলমগ্ন জমি দেখতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু কৃষকের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
জলমগ্ন জমি দেখতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু কৃষকের

নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে বিস্তীর্ণ এলাকার ধানক্ষেত ডুবে গিয়েছে। জল বেড়েছে কালনা ২নং ব্লকের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বেহুলা নদীতে। সেই নদী সাঁতরে নিজের জমির হাল দেখতে গিয়ে সলিল সমাধি হল এক কৃষকের। মৃত সুদেব ঘোষ (৫৫) কালনার কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্বমঙ্গলা এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার খবর ছড়াতে ওই নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বেহুলা নদী পারাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। এলাকায় নজরদারি শুরু হয়েছে। খবরাখবর নিয়ে জানা গেল, সর্বমঙ্গলা ও লাগোয়া এলাকার বহু কৃষকের জমি রয়েছে বেহুলা নদীর অন্য পাড়ে কেলেনই গ্রামের মাঠে। বহুদূরে একটা ভাঙাচোরা নড়বড়ে সেতু থাকলেও কৃষকরা জমি দেখা-সহ চাষবাসের কাজ করতে সাঁতরে বেহুলা নদী পার হয়েই যান। একইভাবে যেতে গিয়ে এদিন সুদেব আচমকা গভীর জলে তলিয়ে গেলেন। মাঠে চাষের কাজ করছিলেন অনেকেই। দেখতে পেয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে কালনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কালনা হাসপাতালেই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মৃত সুদেবের ছেলে সুভাষ ঘোষ বলছিলেন, ‘অনেকেই সাঁতরে নদী পার হয়ে কেলেনইয়ের মাঠে জমি দেখতে যায়। বাবাও গিয়েছিল। কিন্তু ঘূর্ণিস্রোত আর কচুরিপানায় আটকে মৃত্যু হল বাবার।’
শুধু বেহুলাই নয়। কালনা ও কাটোয়া ২ মহকুমার ভাগীরথী-সহ বিভিন্ন ছোটবড় নদীতে জল বেড়েছে। তার ফলে ডুবেছে নদী লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমি। কালনা শহর লাগোয়া ভাগীরথী আর কাটোয়া শহর লাগোয়া ভাগীরথী ও অজয়ের জলস্তর বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে। অজয় ঘেরা কাটোয়া ১নং ব্লকের কোশিগ্রাম পঞ্চায়েতের শুনিয়া গ্রাম পুরোপুরি জলবন্দি হয়ে পড়েছে। গোটা গ্রামের ৮০টি পরিবার জলবন্দি। গ্রামবাসী অভিজিৎ হাজরা, রাধেশ্যাম হাজরারা বলছিলেন, ‘আতঙ্কে আছি। সবথেকে চিন্তা রাতে কোনও সমস্যা হলে, বিশেষ করে হাসপাতালে যেতে হলে কীভাবে গ্রাম থেকে বেরব, সেই দুশ্চিন্তায় আছি।’ পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে কাটোয়ার মহকুমাশাসক অর্চনা ওয়াংখেড়ে জানান, ‘পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিডিও-কে নজর রাখার জন্য বলা হয়েছে। ত্রাণের ব্যবস্থা হয়েছে।’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!