- এই মুহূর্তে দে । শ
- ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
সোমবারের আলোচনায় মেলেনি রফাসূত্র, কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র
কৃষকদের সমস্যা মেটাতে সোমবার কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বৈঠক। গভীর রাত পর্যন্ত সমধানসূত্র মেলেনি। দাবি না মেটায় আজ ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দিয়েছেন কৃষক নেতারা। আর তাতেই ঘুম ছুটেছে সরকারের। কৃষকদের অভিযান আটকানোর জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। সমাবেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। রাজধানীর শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য দিল্লি সীমান্তে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিভিন্ন দাবি–দাওয়া নিয়ে ২০২০ সাল থেকে আন্দোলন করছিলেন কৃষকরা। বেশ কয়েকজন কৃষক মারা যান। তাঁদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন কৃষক নেতারা। কেন্দ্র সরকারের বৈঠকে কৃষক নেতাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, মৃত কৃষকদের পরিবারবর্গকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়া কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টি দাবি মানা হয়নি।
এসপর সোমবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সংলাপ চললেও দুই পক্ষ মূল দাবিতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। অর্জুন মুন্ডা ইঙ্গিত দেন যে, অধিকাংশ বিষয়ে ঐক্যমত হয়েছে। একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে বাকি সমস্যা সমাধানের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধে বলেন, ‘সরকার আমাদের কোনও দাবি গুরুত্ব সহকারে দেখছে না। আমরা মনে হয় না, সকরাক আমাদের দাবি পূরণ করতে চায়। সরকার যদি কিছু প্রস্তাব দিত, তাহলে আমরা আমাদের আন্দোলন পুনর্বিবেচনা করতে পারতাম।’
কৃষকদের মিছিল আটকাতে দিল্লি জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। কংক্রিটের দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে। কাঁটাতারের বাড়া, পেরেকের পাটাতন বসানো হয়েছে। শহরের সীমান্ত দুর্গে পরিণত হয়েছে। ১২ মার্চ পর্যন্ত বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামী ১ মাস দিল্লিতে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। দিল্লিতে ট্রাক্টর প্রবেশ এবং অস্ত্র বা দাহ্য জিনিস বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সিংগু, টিকরি এবং গাজিপুর সীমান্তে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দিল্লি সীমান্তে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি, হরিয়ানার কর্তৃপক্ষ পাঞ্জাবের সাথে রাজ্যের সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। আম্বালা, জিন্দ, ফতেহাবাদ, কুরুক্ষেত্র এবং সিরসা সহ এলাকাগুলি কংক্রিট ব্লক, লোহার পেরেক এবং কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। হরিয়ানায় ৬৪ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী রাজ্য পুলিশের ৫০ কোম্পানি বিভিন্ন জেলা জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে। ড্রোন এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। সকাল ১০ টায় ‘দিল্লি চলো’ পদযাত্রা শুরু করেছেন কৃষকরা। পাঞ্জাবের সাংরুরের কৃষকরা হরিয়ানা হয়ে দিল্লি পর্যন্ত ২৫০০টি ট্রাক্টর ট্রলি নিয়ে মিছিলে যোগ দিয়েছেন। ২০০ টিরও বেশি কৃষক ইউনিয়ন অভিযানে অংশ নিয়েছে।
❤ Support Us