Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুলাই ২৪, ২০২৪

সংসদে রাহুল গান্ধির সঙ্গে কৃষক নেতাদের বৈঠক। কৃষিপণ্যে সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টির দাবি তুলবেন সংসদে, আশ্বাস বিরোধী দলনেতার

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সংসদে রাহুল গান্ধির সঙ্গে কৃষক নেতাদের বৈঠক। কৃষিপণ্যে সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টির দাবি তুলবেন সংসদে, আশ্বাস বিরোধী দলনেতার

কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি বুধবার ২০২৪-২৫ কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার একদিন পরে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের (এমএসপি) আইনি গ্যারান্টির দীর্ঘমেয়াদী ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে কৃষকদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেন।সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা (অরাজনৈতিক) এবং কিষাণ মজদুর মোর্চা (কেএমএম) দুই সংগঠনের প্রতিনিধিরাই এদিন সংসদে, বিরোধী দলনেতার কক্ষে বৈঠক করেন ।

বৈঠকের পর রাহুল গান্ধি বলেন, কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহারেই দেশের কৃয়কদের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নির্ধারনের জন্য, আইনি গ্যারান্টির দাবির কথা বলা হয়েছিল। আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে আমরা ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব এবং দেশের কৃষকদের এমএসপি-তে আইনি গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করব।’

নরেন্দ্র মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কৃষকের প্রধান দাবি ছিল ফসলের MSP (Minimum Support Price)-এর জন্য একটি আইনি গ্যারান্টি। সরকারকে শেষ পর্যন্ত তিনটি আইন প্রত্যাহার করতে হয়।সেই সময়ই কেন্দ্রের তর‌ফে উৎপাদিত ফসলের মূল্যের আইনি গ্যারান্টিরও কথা বলা হলেও, পরবর্তীতে তা আর বাস্তবায়িত হয়নি । এনিয়ে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে, নিজেদের দাবি আদায়ে সংসদ ঘেরাও কর্মসূচিতে দেশের রাজপথ উত্তাল করেন কৃষক সংঘঠন গুলি। লোকসভা নির্বাচনেও সেই আন্দোলনের প্রভাব পরে । ভারতের গ্রামাঞ্চলে জনসমর্থন হারায় বিজেপি।এবার ভোট মিটতেই নিজেদের দাবি আদায়ে ভিন্নপন্থা অবলম্বনের ঘোষণা আগেই করেছিল দেশের কৃষক সংঘঠন গুলি।সেই মতই আজ দিল্লিতে এসে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বৈঠকে বসেন কৃষক নেতারা । এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল, দলের বিধায়ক রাজা ব্রার, সুখজিন্দর সিং রনধাওয়া, গুরজিত সিং আউজলা, ধরমবীর গান্ধি, অমর সিং, দীপেন্দর সিং হুডা এবং জয় প্রকাশ।

এর আগে, পুরনো সংসদ চত্বরে কৃষক নেতাদের প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরোপ করেছিল কেন্দ্র সরকার । নতুন ভবনে, আজ তারা রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করতে এলে, তাদের প্রবেশ অনুমতি দেয়নি নিরাপত্তা রক্ষীরা । পরে বিরোধী দলনেতা নিজে বাইরে বেড়িয়ে এসে, কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সংসদ চত্বরে, নিজের দফতরে নিয়ে যান । সেখানেই তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ।

এদিকে পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমায় বিক্ষোভকারী কৃষক ও সরকারের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, অবশ্যই ওই আন্দোলনকারী কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে । হরিয়ানা সরকারের উদ্দেশ্যে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জল ভূঁইয়ার বেঞ্চ বলেছে, ‘কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় তারা দিল্লিতে আসতে চাইবে কেন? আপনি এখান থেকে মন্ত্রীদের পাঠাচ্ছেন এবং তাদের উদ্দেশ্য সৎ থাকা সত্ত্বেও বিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে। তারা মনে করবে আপনি কেবল স্বার্থের কথা বলছেন এবং স্থানীয় সমস্যাগুলিকে উপেক্ষা করছেন। আপনি নিরপেক্ষ আম্পায়ার পাঠাচ্ছেন না কেন ?’

হরিয়ানা সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা আদালতকে ২০২০-২১ সালের কৃষক বিক্ষোভকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘ কৃষকেরা যদি দিল্লির উদ্দেশ্যে লং মার্চ করেন, তাতে রাজ্যের কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু ট্যাঙ্ক, জেসিবি প্রভৃতি নিয়ে আসায় মাটিতে ঘর্ষণ হবে। একই ব্যাপার আগের বারের কৃষি আইনের বিক্ষোভের সময়ও দেখা গিয়েছিল। ‘ কৃষকদের ওই আন্দোলনের ব্যাপকতায় তিনটি কৃষি আইন বাতিল করে কেন্দ্র।

হরিয়ানা হাইকোর্টের তরফে এক সপ্তাহের মধ্যে শম্ভু সীমান্তে ব্যারিকেড অপসারণের আদেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে হরিয়ানা সরকার। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন ফসলের ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের আইনি গ্যারান্টি সহ বেশ কয়েকটি দাবিতে দিল্লিতে মিছিল করার ঘোষণা করার পরেই এই ব্যারিকেড লাগানো হয়। বুধবারের ওই মামলার শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, হাইওয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা যাবেনা। সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য , জাতীয় সড়কে নিষিদ্ধ কোনো বস্তু জোর করে চালানো হলে তা মোটর ভেহিকেল আইনে নিষিদ্ধ। এমতাবস্থায়, আদালতের নির্দেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা উভয় রাজ্যই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে এবং পর্যায়ক্রমে ব্যারিকেডগুলি সরানোর জন্য পদক্ষেপ নেবে, যাতে জনসাধারণের কোনো অসুবিধা না হয়।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!