- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪
বৃষ্টিতে ক্ষতির সম্মুখীন স্বরূপনগরের কৃষকরা।

নিম্নচাপের প্রভাবে অতি বৃষ্টির কারনে ব্যাপক ক্ষতির সন্মুখীন বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগরের চাষীরা । বিঘার পর বিঘা জমির ধান জলের তলায়। মাঠে জল দাঁড়িয়ে থাকায় হাজার হাজার বিঘা জমির সবজির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা । জলের মধ্য পচে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বেগুন, পটল, বরবটি, প্রভৃতি সবজির। বেশ কিছু এলাকায় গ্রামের মধ্যেও জল ঢুকে পড়েছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে কয়েক দিন ধরে চলা অবিরাম বৃষ্টিতে স্বরূপনগর ব্লকের চারঘাট, তেপুল মির্জাপুর ও শাঁড়াপুল গ্রামপঞ্চায়েতের এলাকায় কয়েক হাজার বিঘা জমিতে বৃষ্টির জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া জমুনা ও ইছামতীর জল বাঁধ ছাপিয়ে ঢুকে পড়েছে চাষের জমিতে। ইতিমধ্যে নলবড়া, লস্করপোতা,ভূমিতলা, পাড়ুই, কাঁটাবাগান, খর্দসিং প্রভৃতি এলাকায় কয়েক হাজার বিঘা জমিতে জল দাঁড়িয়ে আছে। মাঠে ধানের পাশাপাশি , পটল, ঝিঙা, বরবটি, বেগুন, ঢেড়স, কাঁকরোল,উচ্ছে, লাউ গাছ গুলি জলের মধ্যে পচতে শুরু করেছে। সমস্যায় পড়েছেন এলাকার কয়েক হাজার কৃষক। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কৃষক সুকুমার মল্লিক বলেন, আমাদের মাঠে আর কোন ফসল নেই । কারন যে ভাবে কয়েকদিন ধরে মাঠে জল জমে আছে আতে মাঠের সবজি গাছের গোড়ায় পচন ধরেছে। গাছ শুকিয়ে আশছে। কয়েকদিনের মধ্যে সবজি গাছগুলি জলের মধ্যে পচে নষ্ট হয়ে যাবে । মাঠের জল সরানোর কোন রাস্তা নেই । বিষয়টি নিয়ে কৃষক মনোরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি ও ইছামতী নদীর জল চাষের জমিতে ঢুকে পড়ায় আমাদের মাঠে হাজার হাজার বিঘা জমির ধান ও সবজি সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সরকার যদি আমাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা না করে তাহলে আমাদের ছেমে মেয়ের হাত ধরে পথে নামা ছাড়া আমাদের কোন উপায় থাকবেনা । এলাকার অপর কৃষক তরুন সরকার বলেন, বর্ষার জলে ধান গাছ কয়েকদিন ধরে জলের তলায় । কবে জমি থেকে জল সরবে বুঝতে পারছিনা। সব্জি চাষেরও একই অবস্থা । কথায় বালে প্রকৃতির মার , দুনিয়ার বার । তাই এই বৃষ্টি আমাদের চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি করে দিল। এখন এই অবস্থায় আমারা ফসল ঘরে তুলতে পারবনা। সরকার আমাদের কৃষকদের দিকে সাহায্যের হাত না বাড়ালে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ানো ছাড়া উপায় থাকবেনা ।বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য অনিমেশ মণ্ডল বলেন, এলাকায় কৃষকের জমির ফসল জলে নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু মানুষের বাড়িতে জল উঠে গিয়েছে। আমরা বিষয়টি স্বরূপনগরের বিডিওর দপ্তরে জানিয়েছি। এলাকায় যে জল জমে আছে তা বের করতে হলে কয়েকটি পাম্প সেটের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় এই জমা জল কয়েকমাস ধরে এলাকায় জমে থাকলে কৃষকরা মাঠে কোন ফসল করতে পারবেনা ।
❤ Support Us