- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- নভেম্বর ১৬, ২০২২
কাতার বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়তে চলেছেন তিন মহিলা রেফারি

২০২২ কাতার বিশ্বকাপে বেশ কয়েকটি নতুন জিনিস চালু হতে চলেছে। যেমন অফসাইড প্রযুক্তির ব্যবহার, ৫ জন ফুটবলার বদল, অতিরিক্ত সময়ে আরও একজন বেশি ফুটবলার বদল। এগুলোর থেকেও কাতার বিশ্বকাপে সবথেকে বেশি আলোচিত বিষয় মহিলা রেফারি। কাতারে ইতিহাস তৈরি করতে প্রস্তুত তিনজন মহিলা রেফারি। এরা হলেন ফ্রান্সের স্টেফানি ফ্র্যাপার্ট, রোয়ান্ডার সালিমা মুকানসাঙ্গা এবং জাপানের ইয়োশিমি ইয়ামাশিতা। কাতার বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনার জন্য যে ৩৬ জন রেফারি নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন এই তিন মহিলা রেফারি।
এই তিন মহিলা রেফারির সঙ্গে সহকারী রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আরও তিনজন মহিলা রেফারি। এরা হলেন ব্রাজিলের নিউজা ব্যাক, মেক্সিকোর কারেন ডিয়াজ মেডিনা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথরিন নেসবিট। যারা ৬৯ জন সহকারী রেফারির অংশ। ফিফার রেফারি কমিটির প্রধান পিয়েরলুইগি কোলিনা রেফারিদের নাম ঘোষণা করার সময় বলেন, ‘আমরা রেফারি নির্বাচনের সময় গুণমানের ওপর জোর দিয়েছি, লিঙ্গের ওপর নয়।’
ইতিহাসের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া এই তিন মহিলা রেফারিদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
স্টেফানি ফ্রেপার্ট
ফরাসি ফ্রেপার্ট ইতিমধ্যেই তাঁর রেফারিং জীবনে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। ২০১৯ সালে ফ্রান্সের লিগ ১-এ তিনিই প্রথম মহিলা রেফারি হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। ওই বছরই তিনি মহিলাদের বিশ্বকাপ ফাইনাল পরিচালনা করেছিলেন। এছাড়া ফ্র্যাপার্ট ২০১৯ সালে লিভারপুল এবং চেলসির মধ্যে উয়েফা সুপার কাপ ফাইনালে রেফারিং করেছিলেন। ২০২০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন। কাতার বিশ্বকাপে রেফারি হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর ফ্র্যাপার্ট বলেন, ‘আমি সত্যিই অনুপ্রাণিত কারণ আমি এটা আশা করিনি। বিশ্বকাপের চেয়ে বড় কিছু হয় না।’
ইয়োশিমি ইয়ামাশিতা
৩৬ ব্যর বয়সী ইয়ামাশিতা জাপানে পুরুষদের ম্যাচ পরিচালনা করে উঠে এসেছেন। প্রথম মহিলা রেফারি হিসেবে ২০১৯ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ পরিচালনা করে ইতিহাস তৈরি করেন। তিনি ২০১৯ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত মহিলা বিশ্বকাপে এবং ২০২০ টোকিও অলিম্পিক গেমসের একটি ম্যাচেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। একসময় তিনি ফিটনেস কোচ ছিলেন। এই বছরের শুরুর দিকে তিনি ফিটনেস কোচিং ছেড়ে পেশাদার রেফারি হয়েচেন। বিশ্বকাপে রেফারিংয়ের দায়িত্ব পেয়ে তিনি বলেন, ‘কখনও ভাবিনি বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনা করতে পারব। এটা খুবই বড় দায়িত্ব। চেষ্টা করব সফলভাবে দায়িত্ব পালন করার।’
সালিমা মুকনসাঙ্গা
৩৪ বছর বয়সী রোয়ান্ডার মুকানসাঙ্গার স্বপ্ন ছিল বাস্কেটবল খেলোয়াড় হওয়ার। কিন্তু তাংর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ২০ বছর বয়সেই নিজের দেশে মহিলাদের ঘরোয়া লিগে রেফারিং শুরু করেন। এই বছরের জানুয়ারিতে পুরুষদের আফ্রিকা নেশনস কাপে একটা ম্যাচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ২০১৯ মহিলা বিশ্বকাপ এবং ২০২০ টোকিও অলিম্পিক গেমসেও দায়িত্ব পালন করেন। সালিমা মুকনসাঙ্গা বলেন, ‘আমি বাস্কেটবল পছন্দ করতাম। এই খেলাকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাস্কেটবল সুযোগ পাওয়া খুব কঠিন ছিল। তাই রেফারিংয়ে চলে এসেছি। এরজন্য আমি কখনো আফসোস করিনি।’
❤ Support Us