- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- নভেম্বর ৩০, ২০২২
পরিবারের ওপর অত্যাচারের হুমকি, দুর্দান্ত লড়াই করেও বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ইরানের

দেশে অশান্তির বাতাবরণ অব্যাহত। সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে প্রতিদিন হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশে এইরকম ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যেই কাতারে বিশ্বকাপ খেলছে ইরানের ফুটবল দল। মঙ্গলবার রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে যথেষ্ট চাপে ছিলেন ইরানের ফুটবলাররা। ইরানের সরকার জাতীয় দলের ফুটবলারদের পরিবারগুলিকে হুমকি দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরুর আগে ফুটবলাররা আচরণ সংযত না করলে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ওপর অত্যাচার করা হবে। মানসিক চাপ নিয়ে মাঠে নেমে দুরন্ত লড়াই করেও শেষরক্ষা করতে পারলেন না এহসান হাজসাফি, মেহেদি তারেমিরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১–০ ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগ থেকেই বিদায় নিল ইরান।
প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে হারতে হয়েছিল ইরানকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে গলা মেলাননি ইরানের ফুটবলাররা। এরপরই কাতারে ইরানের ফুটবলারদের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা ফুটবলারদের বলেন, জাতীয় সঙ্গীত না গাইলে কিংবা প্রতিবাদ কর্মসূচি হাতে নিলে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনের শিকার হতে হবে। পরিবারের কথা ভেবে ওয়েলসের বিপক্ষে গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে গলা মেলান ইরানের ফুটবলাররা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেও প্রতিবাদের রাস্তায় যাননি। ইরানের সামরিক কর্মকর্তারা কাতারে দলের ফুটবলারদের নজরে রাখছেন। বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছেন না।
এইরকম পরিস্থিতিতে মাঠে নেমে ফুটবলারদের পক্ষে সেরাটা দেওয়া কঠিন। পারেননি ইরানের ফুটবলাররাও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিজেদের একেবারেই মেলে ধরতে পারেননি। ম্যাচের শুরু থেকেই রাশ তুলে নেয় মার্কিনীরা। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে। একাধিক সুযোগও তৈরি হয়। ৩৮ মিনিটে কাঙ্খিত গোল তুলে নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওভারল্যাপে উঠে এসে সার্জিনো ডেস্ট হেডে বল দেন ক্রিশ্চিয়ানো পুলিসিচকে। বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি পুলিসিচ। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে টিমোথি উইয়া ইরানের জালে বল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইডের জন্য সেই গোল বাতিল হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা খেলায় ফেরে ইরান। রেজাইন, তারেমিরা আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন। কিন্তু মার্কিন রক্ষণ সতর্ক থাকায় সমতা ফেরাতে পারেননি। শেষ দিকে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ইরান। মার্কিন গোলকিপার ম্যাট টার্নারের কাছে বারবার আটকে গেলেন তারেমি, আজমাউনরা। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে কার্টার–ভিকার তারেমিকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিলেও পেনাল্টি পায়নি ইরান। ফলে নক আউটের স্বপ্ন সেখানেই শেষ হয়ে যায়।
❤ Support Us