- এই মুহূর্তে বৈষয়িক
- ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫
সেবির নতুন চেয়ারম্যান হলেন অর্থ ও রাজস্ব সচিব তুহিন পান্ডে

অর্থ ও রাজস্ব সচিব তুহিন কান্ত পান্ডেকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার (SEBI) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করল কেন্দ্র সরকার। তিনি মাধবী পুরী বুচের স্থলাভিষিক্ত হবেন। আজ সেবির চেয়ারম্যান হিসেবে ৩ বছরের কার্যকাল শেষ হচ্ছে মাধবী পুরীর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক নির্দেশ জারি করে অর্থ সচিব এবং রাজস্ব বিভাগের সচিব তুহিন কান্ত পান্ডেকে সেবির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার নিয়োগ কমিটি। আদেশে বলা হয়েছে, তুহিন পান্ডকে ৩ বছরের জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করা হল। তুহিন পান্ডে এমন এক সময়ে সেবির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিচ্ছেন, যখন বিদেশী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এদেশে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের ফলে বাজারগুলি চাপের মধ্যে রয়েছে। জানুয়ারি থেকে বিদেশী পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেছে।
১৯৮৭ ব্যাচের আইএএস তুহিন পান্ডে। সেবির চেয়ারম্যান হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বিভাগের সচিব ছিলেন। তুহিন পান্ডের পূর্বসূরী সঞ্জয় মালহোত্রা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর হিসেবে যোগদানের পর ৯ জানুয়ারী তিনি রাজস্ব বিভাগের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০২৫–২৬ বাজেট তৈরিতে তুহিন পান্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যা মধ্যবিত্তদের জন্য মোট ১ লক্ষ কোটি টাকার কর ছাড় দেয়। তিনি ৬৪ বছরের পুরনো আয়কর আইন, ১৯৬১ প্রতিস্থাপনের লক্ষ্যে নতুন আয়কর বিলের খসড়া তৈরিতেও জড়িত ছিলেন।
একসময় বিনিয়োগ ও পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগে দীর্ঘ সময় ধরে সচিবের দায়িত্ব সামলেছেন। এই দফতরটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগ, যা পাবলিক সেক্টর কোম্পানিগুলিতে সরকারি ইকুইটি পরিচালনা করে। ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করার সময় তুহিন পান্ডে পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজ নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিপিএসই–গুলির বিলগ্নিকরণ এগিয়ে নিয়ে যান, যার লক্ষ্য ছিল অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে পিএসই–তে সরকারের উপস্থিতি হ্রাস করা। এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। আইডিবিআই ব্যাঙ্কের বেসরকারীকরণ পরিকল্পনার তদারকিও করেছিলেন তুহিন পান্ডে।
চণ্ডীগড়ের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর পাশ করার পর ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ওড়িশা সরকার এবং ভারত সরকারের বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। কর্মজীবনের প্রথম দিকে স্বাস্থ্য, সাধারণ প্রশাসন, বাণিজ্যিক কর, পরিবহন এবং অর্থ বিভাগের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ওড়িশা রাজ্য অর্থ কর্পোরেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং ওড়িশা ক্ষুদ্র শিল্প কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। কেন্দ্রে পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম সচিব (বর্তমানে নীতি আয়োগ), মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিবের দায়িত্বও সামলেছেন তুহিন পান্ডে।
❤ Support Us