- প্রচ্ছদ রচনা
- জানুয়ারি ১৪, ২০২২
পৌষ সংক্রান্তির অন্যতম আকর্ষণ জামাই মেলা

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত, পৌষসংক্রান্তির উৎসবের আমেজে মেতেছে। শীতের সকালে গঙ্গাস্নান থেকে শুরু করে আলপনা, পুজো, গৃহস্থের বাড়িতে পিঠে-পুলির দেদার আয়োজন। বাংলাদেশেও এ দিন পৌষ পার্বণ পালন করা হচ্ছে । যে প্রদেশে বা যে দেশেই পালন করা হোক না কেন, সর্বত্রই কারণ একই—সূর্যের আরাধনা বা নবান্ন উদ্যাপন করা।
এদিনই গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বিনিরাইল এলাকায় আড়াইশ বছরের পুরনো জামাই মেলাও বসে । আজকের দিনে হাজার হাজার মানুষে এসে মিলিত হন মেলা প্রাঙ্গনে। মূলত এটা জামাই মেলা হলেও সবাই এটাকে মাছের মেলাই বলে। কারণ স্থানীয় জামাই এবং শ্বশুরদের মধ্যে চলে মাছ কেনার প্রতিযোগিতা। দুপক্ষই চান একে অপরকে হারাতে । ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়, কে কত বেশি ওজনের বা বড় মাছ মেলায় আনতে পারেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্রেতারা মাছ নিয়ে আসেন বেচতে। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন মাছ দেখতে । কিনতে। দরদাম করতে ।
বিরাট এলাকাজুড়ে মাছের পসরা সাজিয়ে বসে থাকা বিক্রেতারা। নানারকম মজাদার অঙ্গভঙ্গি করে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এবারে করোনা আবহে লোকজন সামান্য কম এলেও। ভাটা পরে নি ঐতিহ্যে । এবারের মেলায় প্রায় ৫ শতাধিক মাছ ব্যবসায়ী বাহারি মাছ নিয়ে এসেছেন। সামুদ্রিক চিতল, বাঘাআইড়, আইড়, বোয়াল, কালী বাউস, পাবদা, গুলসা, গলদা চিংড়ি, বাইম, কাইকলা, রূপচাঁদা মাছের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে নানা রকমের দেশি মাছও। রুই, কাতল, কালবাউশ ও রিটা মাছের সমাগম হয়েছে। এছাড়া কার্প জাতীয় নানা মাছের আমদানি হয়েছে। এক কেজি থেকে শুরু করে কুড়ি কেজি পর্যন্ত এসব মাছের দাম হাঁকা হয় ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ৭০ হাজার টাকা।
এই অঞ্চলের জামাইরা শ্বশুড়বাড়ির লোকজন খুশি করতে বিশাল ওজনের মাছ কেনেন । মেলাটি এ অঞ্চলের মানুষের ঐতিহ্যের ধারক-বাহক।
❤ Support Us