- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- জুন ১০, ২০২৩
জলের নিচে ১০০ দিন বসবাস, রেকর্ড ডাঃ ডিপের

শেষবার সূর্যের মুখ দেখেছিলেন ১ মার্চ। তারপর আবার ১০০ দিন পর। দলের নিচে বসবাসের দীর্ঘতম রেকর্ড গড়েছেন দক্ষিণ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডাঃ জোশেফ দিতুরি ওরফে ডাঃ ডিপ। যিনি ভেঙে দিয়েছেন টেনেসির দুই অধ্যাপকের রেকর্ড। যারা ২০১৪ সালে ৭৩ দিন ২ ঘন্টা ৩৪ মিনিট জলের নিচে বসবাস করেছিলেন।
দিতুরি একজন ডাইভিং বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসা গবেষক। জুলসের সমুদ্রের নিচে স্কুবা ডাইভারদের জন্য তৈরি একটা লজে বসবাস করেন। এই লজেই টেনেসির দুই অধ্যাপক ৭৩ দিন কাটিয়েছিলেন। লজটি ৩০ ফুট লম্বা লার্গো লেগুনে জলের পৃষ্ঠের নিচে অবস্থিত। জলের নিচে বসবাসের জন্য দিতুরিকে অনুপ্রানিত করেছিলেন জলের নিচের পরিবেশের সহনশীলতা অর্জনের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। কোনও রেকর্ড ভাঙার জন্য তিনি এই ব্যাপারে অগ্রসর হননি। দিতুরি বলেন, ‘জলের নিচের বিশ্ব এবং একটা বিচ্ছিন্ন, সীমাবদ্ধ, চরম পরিবেশে মানুষের সহনশীলতা পরীক্ষা করার জন্যই আমি সেখানে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
দিতুরি একজন অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন নেভাল অফিসার এবং বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ডক্টরেট করেছেন। তিনি মে মাসে জলের নিচে তাঁর ৭৪ তম দিন পূর্ণ করার পরে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে নাম তোলেন। মেরিন রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ও জলের নিচের লজের মালিক সংস্থা দিতুরির ১০০ দিনের চিত্তাকর্ষক কৃতিত্বকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য গিনেস বুক কর্তৃপক্ষর কাছে আবেদনের পরিকল্পনা করছে।
ডঃ ডিপ নেপচুন ১০০ প্রকল্পের অংশ হিসাবে বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। প্রকল্পটি মেরিন রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। একটা সাবমেরিন পৃষ্ঠের মতো চাপ বজায় রাখতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যাতে এর বাসিন্দারা জলের নিচে বেঁচে থাকতে পারে। নেপচুন ১০০ প্রকল্পের লক্ষ্য চরম চাপ এবং বিচ্ছিন্ন পরিবেশে দীর্ঘায়িত এক্সপোজারে মানবদেহ ও মন কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় সে সম্পর্কে মূল্যবান জ্ঞান সংগ্রহ করা।
❤ Support Us