- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১৩, ২০২৩
ঢাকায় ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনে আবার চিনা আধিপত্যের সমালোচনায় জয়শঙ্কর

চিত্র : সংবাদ সংস্থা
ষষ্ঠ ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে নাম না করে চিনের সমালোচনায় সরব হলেন এস জয়শঙ্কর। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বললেন, ভারত মহাসাগরের আশেপাশের দেশগুলো সমুদ্র বাণিজ্যের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কোনো দেশের আধিপত্যবাদের কারণে তাতে ভাঙন ধরা উচিত নয়। তাতে আন্তর্জাতিক কল্যাণ ব্যাহত হবে। কোনো অশুভ শক্তির আধিপত্য রুখতে তিনি জোটবদ্ধ রাষ্ট্র গুলোর পারস্পরিক সমন্বয় ও উপকূল অঞ্চলে নজরদারির ওপর নজর দিয়েছেন। তাঁর মতে,প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা জানানো জরুরি। যে উদ্দ্যেশ্য নিয়ে কূটনৈতিক দৌত্য গড়ে তোলা হয়, তাঁর সাফল্যের জন্য প্রত্যেককে সচেষ্ট থাকতে হবে।
ভারত মহাসাগর সংলগ্ন দেশগুলোর ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়েও নিজের গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন জয়শংকর। তিনি বলেছেন, অসাধু লেনদেন, অত্যধিক ব্যয়বহুল উদ্যোগে জড়িয়ে পড়া, বাজারের সঙ্গে সম্পর্ক রহিত মূল্যমান নির্ধারণ দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলোর তাঁদের অতীতের ভ্রান্ত নীতির কারণে সমস্যায় ভুগছে। বর্তমানে সময় রয়েছে, নিজেদেরকে পাল্টানোর। প্রত্যাঘাত ও পুনরাবৃত্তির প্রবণতা ত্যাগ করবার। আরো বেশি সংস্কারমুখী হতে হবে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশকে।
শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর বক্তৃতায় ভারত মহাসাগরে শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। বলেছেন, মুক্ত ও নিরাপদ ভারত মহাসাগরের কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্ব রয়েছে।
দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীই আজকের সম্মেলনে জোর দিয়েছেন সমুদ্রপথে সংযোগ বাড়ানোর দিকে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, বিশেষ কিছু অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে স্থলপথে সংযোগ এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে বহুমুখী সংযোগের প্রয়োজন রয়েছে ভারতের।
শুক্রবার ঢাকায় ষষ্ঠ ভারত মহাসাগরীয় দেশগুলোর বৈঠকে যোগদান করেন এস জয়শংকর। দেখা করেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতে আয়োজিত জি২০ সম্মেলনে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা। তার আগে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনীতি, খাদ্য ও জ্বালানির সমস্যা নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, ভারত উন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশের মানুষের স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে। জয়শঙ্করও অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
❤ Support Us