Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • এপ্রিল ২৭, ২০২৩

আইএএস খুনের দায়ে বন্দি আনন্দের মুক্তি ।শাসকের বিরুদ্ধে আইন বদলের অভিযোগ বিরোধীদের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আইএএস খুনের দায়ে বন্দি আনন্দের মুক্তি ।শাসকের বিরুদ্ধে আইন বদলের অভিযোগ বিরোধীদের

আইএএস অফিসার খুনের দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বিহারের প্রাক্তন সাংসদ আনন্দ মোহন সিং জেল থেকে মুক্তি পেলেন। গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া আনন্দ মোহন সিং ১৯৯৪ সালে এক আইএএস অফিসারকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন। আনন্দ মোহনের ছেলে আরজেডি-র বিধায়ক। তার ফোন নিরুত্তর। ফলে বৃহ্স্পতিবার আনন্দ মোহনের মুক্তির পরে তার পরিবারের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। জেল থেকে মুক্তির পরে আনন্দ মোহন এখন কোথায় রয়েছেন, তা জানা যায়নি। সহর্ষ এলাকায় আনন্দ মোহনের বাসভবনের দরজায় ঝুলছে তালা।

আনন্দ মোহন সিং এর কারা মুক্তির পর বিহারে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে। বিহার সরকার তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সে রাজ্যের কারাবিধির পরিবর্তন করেছে। এই অভিযোগেই প্রতিবাদ শুরু করেছে বিরোধীরা। প্রসঙ্গত, ছেলের বিয়ের জন্যে সম্প্রতি ১৫ দিনের জন্যে প্যারোলে মুক্ত থাকার পরে গতকালই জেলে ফিরেছিলেন আনন্দ মোহন । এরপর রাত পোহাতেই মুক্তি পেয়ে গেলেন।

১৯৯৪ সালে দলিত আইএএস অফিসার জি কৃষ্ণাইয়া খুনের দায়ে আনন্দ মোহন ছাড়াও আরও ২৭জন দোষী সাব্যস্ত হন। ২০০৭ সালে এই মামলায় নিম্ন আদালত আনন্দ মোহন সিংয়ের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে পাটনা হাইকোর্ট সাজা খানিকটা লঘু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়।

খুন হওয়া ওই আইএএস অফিসারের স্ত্রী উমা কৃষ্ণাইয়া বলেছেন, কার্যত রাজ্য সরকার অপরাধীদের মদত জোগাল। এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে, যে কেউ অপরাধ করে জেলে গিয়ে তারপর জেল থেকে বেরিয়েই রাজনীতিতে যোগ দিতে পারবেন। আনন্দ মোহন সিংয়ের মৃত্যুদণ্ড হওয়াই উচিত ছিল।এবিষয়ে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি। আনন্দ মোহনের জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার বিরোধিতা করেছে আইএএস অ্যাসোসিয়েশনও।

বহুজন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী বলেছেন, আনন্দ কুমার সিংকে মুক্তি দিয়ে বিহার সরকার দলিতবিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছে।

১৯৯৪ সালে আনন্দ কুমার সিংয়ের সহযোগী গ্যাংস্টার ছোটন শুল্কা খুন হয়। এই ঘটনার পরে একদল লোক আইএএস অফিসার জি কৃষ্ণাইয়ার ওপর চড়াও হয়ে তাঁকে খুন করেছিল।

আরজেডি সাংসদ ছিলেন আনন্দ মোহন। বিজেপি আনন্দ মোহনের জেলমুক্তির তীব্র সমালোচনা করেছে। আনন্দ মোহন সম্প্রতি প্যারোলে মুক্ত থাকাকালীন বিলকিস বানুর ধর্ষকদের যেভাবে গুজরাট সরকার জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছিলেন।

আনন্দ মোহনের জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার ঘটনার বিরোধী করেছে বিহারের বিজেপি। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে প্রাক্তন আরজেডি সাংসদ আনন্দ কুমারকে মুক্তি দেওয়া হল কিনা তা নিয়েও চলছে জল্পনা। আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজপুত ভোট টানতে আনন্দ মোহন সিংকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা।


  • Tags:
❤ Support Us
Advertisement
error: Content is protected !!