- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- মে ২১, ২০২৪
প্রয়াত জার্মান ফুটবলের ‘ভক্সওয়াগন’ কার্ল–হেইঞ্জ স্নেলিঙ্গার

মারা গেলেন জার্মান ফুটবলের ‘ভক্সওয়াগন’ কার্ল–হেইঞ্জ স্নেলিঙ্গার। বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। অবশেষে ইতালির মিলানের এক হাসপাতালে তিনি মারা যান। কার্ল–হেইঞ্জের মেয়ে সংবাদসংস্থাকে বাবার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।
জার্মানির হয়ে চার–চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন কার্ল–হেইঞ্জ স্নেলিঙ্গার। প্রথম বিশ্বকাপে মাঠে নামেন ১৯৫৮ সালে। ১৯৬২ বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন। তবে স্নেলিঙ্গারের কাছে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে ১৯৬৬ বিশ্বকাপ। দলকে ফাইনালে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। কিন্তু ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে অতিরিক্ত সময়ে ৪–২ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল তাঁর দল তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি। পরে ১৯৭০ বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন স্নেলিঙ্গার।
রক্ষণের যে কোনও জায়গায় খেলার ব্যাপারে দারুণ দক্ষতা ছিল স্নেলিঙ্গারের। কখনও লেফটব্যাক, কখনও রাইট ব্যাক, সেন্টারব্যাক, সুইপার, এমনকি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডেও খেলেছেন। ইতালির জিয়াচিন্টো ফাচেত্তি, ব্রাজিলের নিল্টন স্যান্টোস ও আর্জেন্টিনার সিলভিও মারজোলিনির সঙ্গে তাঁর তুলনা করা হত। কড়া ট্যাকল করার ব্যাপারে যথেষ্ট সুনাম ছিল। পারফরমেন্সের গ্রাফ সচরাচর পড়ত না। এইজন্য তাঁর ভক্তরা আদর করে জার্মানির জনপ্রিয় গাড়ির নাম অনুসারে ‘ভক্সওয়াগন’ বলে ডাকতেন।
দেশের হয়ে ৪৭টি ম্যাচ খেলেছেন স্নেলিঙ্গার। এর মধ্যে ১৭টিই বিশ্বকাপে। দেশের হয়ে একটাই গোল করেছেন। ১৯৭০ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ইতালির কাছে ১–০ গোলে হারছিল পশ্চিম জার্মানি। ইনজুরি সময়ে গোল করে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে গিয়েছিলেন স্নেলিঙ্গার। যদিও অতিরিক্ত সময়ে ৪–৩ ব্যবধানে পরাজিত হয় পশ্চিম জার্মানি। সেটাই স্নেলিঙ্গারের জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচ।
১৯৫৮ সালে কোলনে পেশাদার ফুটবলজীবন শুরু করেছিলেন স্নেলিঙ্গার। ১৯৬৩ সালে ইতালিতে চলে যান। যোগ দেন মান্তোভাতে। পরের বছর রোমাতে কাটিয়ে ১৯৬৫ সালে যোগ দেন মিলানে। ৯ বছর মিলানের জার্সি গায়ে খেলেছিলেন। মিলানের হয়ে সিরি আ, কোপা ইতালিয়া, ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতেছেন। মিলানের হয়ে মোট ৩৩৪ ম্যাচ খেলেন। ১৯৭৪ সালে জার্মানিতে ফিরে বরুসিয়া বার্লিনে এক বছর কাটিয়ে ফুটবলকে বিদায় জানান ‘ভক্সওয়াগন’। ফুটবলজীবন শেষ করে স্থায়ীভাবে ইতালিতেই বসবাস করতেন স্নেলিঙ্গার।
❤ Support Us