- বি। দে । শ
- সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
হিংসার আগুনে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে ৪ জনের মৃত্যু, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শান্তির আবেদন

ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও হিংসার আগুনে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পার্বত্য অঞ্চলের জনগণের কাছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চলমান উত্তেজনা তিন পার্বত্য জেলায় হিংসাত্মক দাঙ্গার রূপ নিতে পারে। নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের জরুরীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বিশেষ করে তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য জনগণকে অনুরোধ করছি।’
মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে ১৮ সেপ্টেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলা সদরে গণপিটুনিতে মোহাম্মদ মামুন নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। পরের দিন ১৯ সেপ্টেম্বর দীঘিনালা কলেজ থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি দীঘিনালার বোয়ালখালি বাজারের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কয়েকজন সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং ২০–৩০ রাউন্ড গুলি চালায়। প্রতিশোধ হিসেবে বিক্ষুব্ধ জনতা বোয়ালখালি বাজারের কয়েকটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর টহলদারি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকল ও স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে ফেলে। তবে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, দীঘিনালা, পানছড়িসহ আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে যা পরিস্থিতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
আহতদে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা খাগড়াছড়ি শহরে সেনাবাহিনীর একটি টহলদারি দলের উপর গুলি চালায়। আত্মরক্ষার জন্য সেনাবিহিনীও গুলি চালায়। সেনাবাহিনীর গুলিতে ৩ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সংঘাতের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৯৭ সালে, বাংলাদেশ সরকার শান্তিবাহিনীর মিলিশিয়া নিয়ন্ত্রণকারী বৃহত্তম উপজাতীয় গোষ্ঠী পার্বত্তা চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাথে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি সত্ত্বেও, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সহ কয়েকটি ছোট দল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
❤ Support Us