কোম্যান ও চৌমেনির পাশে দাঁড়াল ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন

বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে টাইব্রেকার মিস করেছিলেন ফ্রান্সের দুই ফুটবলার কিংসলে কোম্যান এবং অরিলিয়েন চৌমেনি। তাঁরা টাইব্রেকার মিস কড়াই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ফ্রান্স। ফাইনালের পরেই এই দুই ফুটবলারকে বর্ণ বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে কটূ মন্তব্য করা হয়েছে।

দুই ফুটবলারের প্রতি এই ধরনের আচরণ দেখে এগিয়ে এসেছে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন। কোম্যান ও চৌমেনি সম্পর্কে বর্ণ বৈষম্যমূলক মন্তব্য করার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা। সমর্থকদের ধিক্কার জানিয়েছে ফরাসি ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুতই অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

সোমবার ইংল্যান্ডের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কোম্যান ও চৌমেনির বর্ণ বৈষম্যের শিকার হওয়ার খবর প্রথম প্রকাশিত হয়। এরপরই এই দুই ফুটবলার নিজেদের ইনস্টাগ্রামে মন্তব্য করা বন্ধ করে দেন। কোম্যান বর্ণ বৈষম্যের শিকার হওয়ার পর পরই তাঁর ক্লাব এফসি বায়ার্ন মিউনিখের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। কোম্যানের পাশে দাঁড়িয়ে একটা বিবৃতিও পোস্ট করা হয়। বায়ার্ন মিউনিখের পক্ষ থেকে পোস্ট করা বিবৃতিতে বলা হয়, “এফসি বায়ার্ন মিউনিখ একটা পরিবারের মতো। আমরা কোম্যানের পাশে আছি। এফসি বায়ার্ন পরিবার কখনোই এই ধরনের বর্ণ বৈষম্যমূলক ঘটনা এবং মন্তব্যের সমর্থন করে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

ফাইনালে আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে ছিল ৩–৩। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে ফ্রান্সের হয়ে প্রথম শটে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে। মেসি ১–১ করেন। এরপর ফ্রান্সের হয়ে শট নিতে আসেন কিংসলে কোম্যান। তাঁর সেই শট বাঁচান আর্জেন্টিনার গোলকিপার মার্টিনেজ। ফ্রান্সের তৃতীয় শর্ট নিতে আসেন অরেলিয়ান চৌমেনি। তিনি বল বাইরে মারেন। টাইব্রেকার মিস করার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কোম্যান ও চৌমেনিকে কটূক্তির মুখে পড়তে হয়। ফ্রান্সের এই দুই ফুটবলারকে ঘিরে নানারকম বর্ণ বৈষম্যমূলক মন্তব্য করা হয়েছে।