Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • নভেম্বর ১৪, ২০২৩

মায়ানমারে আবার নতুন করে লড়াই শুরু, উদ্বাস্তুর ভিড় বাড়ছে মিজোরামে

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মায়ানমারে আবার নতুন করে লড়াই শুরু, উদ্বাস্তুর ভিড় বাড়ছে মিজোরামে

মায়ানমারে জুন্টা সামরিক বহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স বা পিডিএফ-এর সঙ্গে লড়াই চলছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনা বাহিনীর আসাম রাইফেলস মায়ানমার সীমান্তের কাছে মিজোরামের বসতিতে গ্রাম প্রধান এবং নাগরিক সমাজের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে।

গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে যে নতুন করে মায়ানমারে লড়াইয়ের ফলে মায়ানমার থেকে মিজোরাম হয়ে ভারতে কুকি উবাস্তুদের আর একটি ভিড় শুরু হয়েছে, এদিকে গত ৭ নভেম্বর মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে।এই অবস্থায় আগত উদ্বাস্তুদের নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি অন্তবর্তী প্রশাসন, বিষয়টি নিয়ে তারা কেন্দ্রের দারস্থ হয়েছেন।

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পারিবারিক ও আত্মীয়তার সম্পর্কের উল্লেখ করে মায়ানমারের ৩২ হাজারের বেশি শরনার্থীদের তাঁর রাজ্যে স্বাগত জানিয়েছেন।আসাম রাইফেলসের অফিসাররা পূর্ব মিজোরামের চাম্পাই জেলার গ্রাম প্রধান এবং সুশীল সমাজ গ্রুপ ইয়াং মিজো অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছেন।

মায়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারের সশস্ত্র শাখা জুন্টার সেনাবাহিনীর সঙ্গে পিডিএফ এর মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ফলে শতশত শরণার্থী মিজোরামের সীমান্ত গ্রামে পালিয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, মিজোরামের চামফাই জেলার জোখাওথার গ্রামে মায়ানমার থেকে ১০০ টির বেশি পরিবার এসে আশ্রয় নিয়েছে। জেখাওথার গ্রামে মায়ানমার থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার শরনার্থী এসেছে।

অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনী দেশটির দখল নেয়, সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩২ হাজার পুরুষ, মহিলা,শিশু শরনার্থী হিসাবে মিজোরামের বিভিন্ন জেলায় এসে আশ্রয় নিয়েছে।মিজোরাামের ছয়টি জেলা মায়ানমার রাজ্যের সঙ্গে চিনের সীমান্তে ৫১০ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়াহীন আন্তর্জাতিক সীমান্তে অবস্থান করছে। এই ছয়টি জেলা হল চাম্পাই, সিয়াং, লংটলাই, সেরচিপ, হানথিয়াল এবং সাইচুয়াল। আসাম রাইফেলস ভারত-মায়ানমারের এই সীমান্তে পাহারা দেয়।

মিজোরামের প্রতিবেশী মণিপুর রাজ্যে শরণার্থী এবং অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যার ক্রমবৃদ্ধির মধ্যে জমি, সম্পদ এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা সঙ্কুচিত হওয়ার ইস্যুতে পার্বত্য-সংখ্যাগরিষ্ঠ চীন-কুকি উপজাতি এবং উপত্যকা-সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতিদের মধ্যে তীব্র জাতিগত সংঘর্ষ দেখেছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!