Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • মে ১০, ২০২৪

গুজরাট, বিহারে মেডিকেল প্রবেশিকার প্রশ্নপত্র নিয়ে দুর্নীতি। গ্রেফতার শিক্ষকসহ ১৩

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
গুজরাট, বিহারে মেডিকেল প্রবেশিকার প্রশ্নপত্র নিয়ে দুর্নীতি। গ্রেফতার শিক্ষকসহ ১৩

প্রকাশ্যে এল সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা নিট নিয়ে দুর্নীতি। গুজরাটে যেমন ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফাঁকা প্রশ্নপত্র ভরে দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে, তেমনই পাটনায় পরীক্ষার আগের দিনই নিটের প্রশ্নপত্র পেয়ে যায় ২০ জন পড়ুয়া। দুই জায়গাতেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গুজরাতের পঞ্চমহল জেলার গোধরার এক স্কুল শিক্ষকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে। ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ৬ জন নিট পরীক্ষার্থী ওই তিন অভিযুক্তকে প্রশ্নপত্র সমাধান করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। এই খবর পেয়ে রবিবার গোধরার ওই স্কুলে যান পঞ্চমহলের জেলাশাসক। তুষার ভট্ট নামে পদার্থবিদ্যার এক শিক্ষক, পরশুরাম রায় ও আরিফ ভোরা নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তুষার ভট্ট ওই কেন্দ্রে পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর গাড়ি থেকে ৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তুষারের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফোন থেকে ১৬ জন পরীক্ষার্থীর তালিকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তুষার স্বীকার করে নিয়েছেন যে, নিট পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

এদিকে, পাটনায় নিট পরীক্ষার আগের দিনই ২০ জন পড়ুয়ার হাতে নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। বিহারের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের পাটনায় নিয়ে আসা হয়েছিল। রামকৃষ্ণনগরের খেমনিচক এলাকার একটি বাড়িতে তাদের রাখা হয়েছিল। সেখানেই তাঁদের হাতে প্রশ্নপত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। ২০ জন পরীক্ষার্থীকে আগের দিনই প্রশ্নপত্র দিয়েছিলেন সমস্তিপুর জেলার বাসিন্দা সিকন্দর ইয়াদাভেন্দু। উত্তরও জানিয়ে দিয়েছিলেন।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ৫ মে ৪ পরীক্ষকসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জেরা চলছে। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক বলেন, ‘‌জেরায় এক অভিযুক্ত জানিয়েছে যে, পাটনা বাইপাসের কাছে একটা দোতলা বাড়ির তিনটি ঘর ভাড়া নিয়েছিল সিকন্দর ইয়াদাভেন্দু।’‌ তাঁকেও ৫ মে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, যে বাড়ির ঘর ভাড়া নিয়েছিল সিকন্দর, সেটা ফাঁকা পড়েছিল। করোনা মহামারীর আগে সেখানে খুদেদের একটি স্কুল চলত। সেখানেই নিট প্রার্থীদের রাখা হয়েছিল। পরীক্ষার দিন সেখান থেকেই তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

নিট পরীক্ষার দিন রাজস্থানের একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকার আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। সংস্থার সিনিয়র ডিরেক্টর সাধনা পরাশর জানান,  প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিটের প্রশ্নপত্র যে ছবিগুলি ভাইরাল হয়েছিল, সেগুলির সঙ্গে আসল প্রশ্নপত্রের কোনও মিল নেই বলে দাবি করেন ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির সিনিয়র ডিরেক্টর।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!