Advertisement
  • ন | ন্দ | ন | চ | ত্ব | র
  • সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

না ফেরার দেশে ‌‘‌প্রফেসর অ্যালবাস ডাম্বলডোর’

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
না ফেরার দেশে ‌‘‌প্রফেসর অ্যালবাস ডাম্বলডোর’

না ফেরার দেশে চলে গেলেন ‘‌প্রফেসর অ্যালবাস ডাম্বলডোর’‌। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বিখ্যাত আইরিশ–ব্রিটিশ অভিনেতা স্যার মাইকেল গ্যামবন। ‘‌হ্যারি পটার’‌ সিরিজে ‘‌ডাম্বলডোর’‌ চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন  করেছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে গ্যামবনের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
বড় পর্দা কিংবা বই, দু’‌দশকেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন প্রজন্মকে বঁুধ করে রেখেছিল হ্যারি পটার। জেকে রাউলিংয়ের কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত হ্যারি পটার সিরিজের শেষ ৬ টি ফিল্মে হগওয়ার্টসের হেডমাস্টারের চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মাইকেল গ্যামবন। আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে জন্মগ্রহন করেছিলেন তিনি। ছোটবেলায় পরিবারের সঙ্গে তিনি লন্ডনে চলে যান। ১৯৬২ সালে ডাবলিনে ওথেলো নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। এরপর ৬ দশক ধরে টিভি, রেডিও, থিয়েটার, সিনেমায় কাজ করেছেন। ৪ বার ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন।
লন্ডনের লরেন্স অলিভিয়ারের ন্যাশনাল থিয়েটার অ্যাক্টিং সংস্থার হয়ে কর্মজীবন শুরু করেন স্যার গ্যামবন। এই থিয়েটার গ্রুপের হয়ে অভিনয় করে তিনি ৩টি অলিভিয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন। ১৯৮০–র দশকে বিবিসির জনপ্রিয় টিভি নাটক ডেনিস পটারের দ্য সিঙ্গিং ডিটেকটিভে ফিলিপ মার্লো চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এছাড়া অস্কারজয়ী ‘‌কিংস স্পিচ’‌ সিনেমায় রাজা চতুর্থ জর্জের বাবা রাজা পঞ্চম জর্জের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এই কিংবদন্তী অভিনেতা। ১৯৯৮ সালে ‘‌নাইটহুড’‌ উপাধি পান মাইকেল গ্যামবন। ২০১২ সালে লন্ডনে স্যামুয়েল বেকেটের ‘‌অল দ্যাট ফল’‌ নাটকে শেষবারের মতো মঞ্চে অভিনয় করেছিলেন।
রিচার্ড হ্যারিসের মৃত্যুর পর ‘‌প্রফেসর ডাম্বলডোর’‌ চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তোলার গুরু দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন মাইকেল গ্যামবন। তারপর বছরের পর বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে সেই গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন । হ্যারি–হারমাইনি এবং রনের পাশাপাশি জেকে রাউলিংয়ের উপন্যাসের সবচেয়ে চর্চিত দুই চরিত্র হল ‘প্রফেসর স্নেইপ’ এবং ‘অ্যালবাস ডাম্বলডোর।’
এদিন হ্যারি পটারের অফিসিয়াল ‘‌এক্স’‌ অ্যাকাউন্টে মাইকেল গ্যামবনের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করে বার্তা দেওয়া হয়েছে। শোকবার্তায় লেখা হয়েছে, ‘‌স্যার মাইকেল গ্যামবনের মৃত্যুর খবরে আমরা মর্মাহত। সারা বিশ্বের হ্যারি পটার প্রেমীদের রসবোধ, মমতা আর দয়ার মাধ্যমেল উনি বিনোদন, আনন্দের রসদ জুগিয়েছেন। তাঁর স্মৃতি আজীবন আমাদের হৃদয়ে থাকবে’। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘আমাদের সবার প্রিয় স্যার মাইকেল গ্যামবন মারা গেছেন। আমরা গভীরভাবে শোকাহত। প্রিয় স্বামী ও দায়িত্ববান পিতা, হাসপাতালে শেষবারের মতো শান্তিতে ঘুমিয়েছেন। সেই সময় তাঁর পাশে ছিলেন স্ত্রী অ্যানি ও পুত্র ফেরগুস।’
এক বিবৃতিতে ড্যানিয়েল র‌্যাডক্লিফ বলেছেন, ‘‌মাইকেল গ্যামবন ছিলেন সবচেয়ে উজ্জ্বল, অনায়াসে অভিনেতাদের মধ্যে একজন, যার সাথে কাজ করার সুযোগ আমি পেয়েছি। কিন্তু তার অসামান্য প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও, আমি তার সম্পর্কে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি মনে রাখব, তা হল সে তার কাজটি করতে কতটা মজা পেয়েছিল। তিনি সবচেয়ে বিনোদনমূলক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন।’‌ হ্যারি পটারের লেখক জেকে রাউলিং গ্যামবনকে ‘‌একজন অসাধারণ অভিনেতা ছাড়াও একজন বিস্ময়কর মানুষ’‌ বলে অভিহিত করেছেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!