- প্রচ্ছদ রচনা
- মে ৪, ২০২২
উত্তরপ্রদেশে ‘ভোগী’ পুলিসকর্মী তিলকধারীর কীর্তি ! গণধর্ষিত বালিকাকে থানায় আবার ধর্ষণ।
সাসপেন্ড হাউস অফিসার । গণ ধর্ষণের তিন পান্ডা গ্রেপ্তার । মূল অভিযুক্ত পগারপার ।

চিত্র: প্রতীকী ।
উত্তরপ্রদেশের পুলিসের বিরুদ্ধে ভয়ানক অভিযোগ। ললিতপুরর থানায় গণধর্ষণের নালিস করতে গিয়ে পুলিসের লালসার শিকার হল একজন নাবালিকা । মঙ্গলবার মেয়টির পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— পুলিস স্টেশনের হাউস অফিসার তিলকধারী সরোজ মেয়টিকে ধর্ষণ করে । থানা প্রধান নিখিল পাঠক অভিযোগ স্বীকার করে বলেছেন, তিলকধারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । ২২ এপ্রিল গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে । চার দুর্বৃত্ত ১৩ বছরের বালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে বারবার ধর্ষণ করে । ২৬ এপ্রিল সকালে পালি থানার সামনে তাকে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় । বালিকার এক আত্মীয়াকে থানা থেকে খবর দেওয়া হলে, তাঁর বাড়িতেই মেয়েটিকে তিনি নিয়ে যান । মেয়েটির পরিবার জানত না, তাঁদের মেয়ে যে ওই আত্মীয়ার কাছে রয়েছে।
২৭ এপ্রিল বালিকাও তাঁর আত্মীয়াকে থানায় ডেকে পাঠানো হয় । বলা হয়, গণধর্ষণের বয়ান রেকর্ড করা হবে। সারাদিন থানায় থাকতে বাধ্য করা হয় বালিকাকে। ওই সময় একটি আলাদা ঘরে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে পুলিস স্টেশনের হাউস অফিসার তিলকধারী । সেদিন আত্মীয়ার সঙ্গেই বাড়ি ফিরে আসে নাবালিকা।
৩০ এপ্রিল তাকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কী কী ঘটেছিল সে তা বিস্তারিত ভাবে চাইল্ড লাইন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়। নাবালিকার পরিবারকে ওই সংস্থাই থানায় নালিস জানাবার পরামর্শ দেন । করা হয়। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গণধর্ষণের মূল অভিযুক্ত পলাতক। তাকে খুঁজে বের করতে তিন পুলিশের একটি দল গঠন করা হয়েছে। অন্য তিন দুর্বৃত্তকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে ।
যোগী রাজ্যে ধর্ষণ, গণধর্ষণ আকছার ঘটছে । প্রশাসন কোথাও সরব, কোথাও তার তৎপরতায় প্রবল শৈথিল্য । এরই সুযোগ নিয়ে দুর্বৃত্তরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বাড়িয়ে দিচ্ছে মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতা আর গার্হস্থ্য অপরাধের পরিধি । গত বিধানসভা ভোটের আগে এই ধরনের ঘটনা যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে ইস্যু হয়ে ওঠলেও ভোটে তার ছায়া পড়েনি । গেরুয়া শিবিরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কমলেও বিরোধীদের অনৈক্য যোগীকেই আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনে । এটাই কী গণতন্ত্রের সুবিচারের নমুনা ?
❤ Support Us