কিছুদিন আগে লেবাননকে হারিয়ে ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই লেবাননকে হারিয়েই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলেন সুনীল ছেত্রিরা। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত গোলশূন্য থাকার পর ম্যাচের নিস্পত্তি হল টাইব্রেকারে। ৪–২ ব্যবধানে জেতে ভারত। ফাইনালে ভারতের সামনে কুয়েত। প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ১–০ ব্যবধানে ফাইনালে উঠেছে তারা।
ভারতের বিরুদ্ধে এদিন দারুণ শুরু করেছিল লেবানন। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই দাপট ছিল। লেবাননের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপে ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই যেন তারা মাঠে নেমেছে। কার্ড সমস্যায় সন্দেশ ঝিংঘান না থাকায় ভারতের রক্ষণ অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিল। সেই সুযোগে প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যেই দু–দুটি গোলের সুযোগ তৈরি করে লেবানন। শুরুতেই বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও বাইরে মারেন নাদের মাতার। ৮ মিনিটে একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে জেইন ফারানের শট আটকে দেন ভারতীয় দলের গোলকিপার গুরপ্রীত সিং।
এরপর নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ম্যাচে ফিরে আসে ভারত। সুনীল ছেত্রি, সাহাল আব্দুল সামাদরা বারবার হানা দিচ্ছিলেন লেবানন বক্সে। কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না। ম্যাচের ৪২ মিনিটে আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল লেবাননের সামনে। মাতোকের দুরন্ত ফ্রিকিক উড়ে গিয়ে বাঁচান গুরপ্রীত। দ্বিতীয়ার্ধেও লেবাননেন চাপ অব্যাহত ছিল। বারবার ভারতীয় রক্ষণে হানা দিচ্ছিলেন মাতার, ফারানরা। আনোয়ার আলি, মেহতাব সিংরা যথেষ্ট চাপে পড়ছিলেন। দাপট বজায় রাখলেও গোল তুলে নিতে পারেনি লেবানন। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ে ভারতের দাপট অবশ্য বেশি ছিল। কিন্তু গোল তুলে নিতে পারেনি। ম্যাচের ফল গোলশূন্য থাকে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে বাজিমাত ভারতের। টাইব্রেকারে প্রথম শটেই গোল করেন সুনীল ছেত্রি। অন্যদিকে, লেবাননের হাসান মাসুদের শট আটকে দেন গুরপ্রীত সিং। এরপর ভারতের হয়ে তিনটি গোল করেন আনোয়ার আলি, মহেশ সিং ও উদান্ত সিং। লেবাননের হয়ে দুটি গোল করেন মহম্মদ সাদেক ও ওয়ালিদ শোউর। বাদেরের শট বারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।