- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
প্রথম পরিদর্শনেই ন্যাকের ‘এ’ গ্রেড স্বীকৃতি কলানার সরকারি কলেজের।রাজ্যে নবনির্মিত ৩৫ মহাবিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম

ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল, ন্যাকের ‘এ’ গ্রেড কলেজের স্বীকৃতি মিলল কালনার মুড়াগাছা ডিগ্রি কলেজের। পূর্ব বর্ধমান জেলার এই সরকারি ডিগ্রি কলেজটি কালনা ১নং ব্লকের কাঁকুড়িয়া পঞ্চায়েতের অধীন। ন্যাকের পাঠানো রিপোর্টে আগামী ৫ বছরের জন্য এই কলেজটিকে ‘এ’ গ্রেড তকমা দেওয়া হয়েছে। প্রথম ভিজিটেই ‘এ’ গ্রেড তকমা পাওয়াটা খুবই কঠিন বলে মনে করেন। পঠনপাঠন, ল্যাবরেটরি, পরিচালন-সহ বিভিন্ন বিষয়কে সামনে রেখে ন্যাকের প্রতিনিধিদলের পরিদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে এই তকমা মিলল বলে জানালেন কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্ণেন্দু দত্ত, অধ্যাপক বিদ্যুৎ কুমার দাসরা। ২০১৫ সাল থেকে পথ চলা এই কলেজটি ‘এ’ গ্রেডের তকমা পাওয়ায় আপ্লুত কলেজটি তৈরির মূল কারিগর এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি বললেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগ ও তৎপরতার ফসল হল প্রত্যন্ত এলাকায় তৈরি হওয়া এই সরকারি কলেজটি। তাই কলেজটি ন্যাকের ‘এ’ গ্রেড তকমা পাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণতি জানাচ্ছি।’ ২০১৫ সালে অনুমোদন পাওয়া ৩৫টি কলেজে এবার পরিদর্শনে আসেন ন্যাকের প্রতিনিধিরা। তারমধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে একমাত্র এই কলেজটিই। আর এই স্বীকৃতি পেয়ে খুশি কলেজের শিক্ষকদের কাছে এই মানটা ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ।
একেবারেই গ্রামীণ এলাকা কালনা ১নং ব্লকের কাঁকুড়িয়া পঞ্চায়েতের এই মুড়াগাছা গ্রাম ও লাগোয়া এলাকা। এই এলাকায় ফি-বছর হাজারের উপর ছেলেমেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে। স্নাতকে পড়ার জন্য তাদের অনেক দূরের পথ ঠেঙিয়ে নবদ্বীপ, কালনা, মেমারি, হাটগোবিন্দপুর কলেজে ছুটতে হত। এলাকার বিধায়ক হওয়ার পর থেকে স্বপনবাবু এখানে একটি কলেজ গড়ার পরিকল্পনা শুরু করেন। তৃণমূল রাজ্যের সরকার গঠনের পর থেকে সেই পরিকল্পনা আরও জোরদার হয়। জমি পাওয়া চরম সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত সরকারের খাস জমিতে গড়ে ওঠে কলেজটি। এখানে নেতাজি ওপেন ইউনিভার্সিটির একটি শাখা খোলা হয়েছে। কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচশর কাছাকাছি। শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ২৭ জন। বিজ্ঞান ও কলা বিভাগ মিলিয়ে মোট ৯টি বিষয় পড়ানো হয়। কলেজটিকে সাজানোর প্রক্রিয়াও চলছে। মেহগনি গাছ-সহ বিভিন্ন গাছগাছালিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে কলেজটিকে। স্বপনবাবু জানান, ‘কলেজের ছাত্রাবাস ও কলেজে যাওয়ার রাস্তা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’
❤ Support Us